সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই ডিয়ার ফ্রেন্ড, ১১ জুনের ম্যাচের ফুটবলারদের চার্ট দেওয়া হল। খেলা শুরু সাড়ে আটটায়।
২০২২ সালের এশিয়ান কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এমনই এক বার্তা ভারতীয় ফুটবল (Indian Football) দলের কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) পাঠিয়েছিলেন দিল্লির জ্যোতিষী ভূপেশ শর্মাকে।
ক্রোয়েশিয়ান কোচের পাঠানো এহেন বার্তার জবাবে সেই জ্যোতিষী কোনও ফুটবলারের নামের পাশে লেখেন, ‘ভাল’, কারও নামের পাশে আবার লেখেন, ‘ভাল করবে’। এখানেই শেষ নয়। কোনও ফুটবলারের নামের পাশে সংশ্লিষ্ট জ্যোতিষী আবার লিখে দেন, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না দেখানেই ভাল’, কারও নামের পাশে লেখা ছিল, ‘আ বিলো অ্যাভারেজ ডে’। একটি ইংরেজি দৈনিকে এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারত শক্তিশালী হলেও শ্রীলঙ্কা লড়াই দেবে, একান্ত সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন চামিন্ডা ভাস]
ফুটবলে ঝাড়ফুক, তুকতাকের নানা গল্প শোনা যায়। শোনা যায় নানারকমের কুসংস্কারের কাহিনীও। কিন্তু সুনীল ছেত্রীদের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচও যে জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হবেন, জ্যোতিষীর কথামতো প্রথম একাদশ তৈরি করবেন, তা কি কেউ আগে কল্পনা করেছিলেন!
স্টিমাচের সঙ্গে সেই জ্যোতিষীর যোগাযোগ করিয়ে দেন ফেডারেশনেরই কর্তাব্যক্তিরা। ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই জ্যোতিষীর স্থির করে দেওয়া প্রথম একাদশ নামান স্টিমাচ।
দু’ জন ভারতীয় তারকার গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ঠিক নয়, এই কারণে সংশ্লিষ্ট দুই ভারতীয় ফুটবলারকে নাকি প্রথম একাদশে রাখাই হয়নি। এমনটাই লেখা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে।
এশিয়ান কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিততেই হতো স্টিমাচের দলকে। ম্যাচটা ভারত ২-১ গোলে জিতেওছিল। সেই ম্যাচ কি ভারতকে জিতিয়েছিল গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান? নাকি ফুটবলারদের দক্ষতা ভারতকে জয় এনে দিয়েছিল?
সেই ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের মে থেকে জুনের মধ্যে ভারতীয় দল চারটি ম্যাচ খেলেছিল জর্ডন, কাম্বোডিয়া, আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টিমাচ প্রতিটি ম্যাচের আগেই সেই জ্যোতিষীকে প্লেয়ারদের তালিকা পাঠাতেন। সংশ্লিষ্ট জ্যোতিষীকে খেলোয়াড়দের চোটআঘাত, পরিবর্তন ফুটবলারের স্ট্র্যাটেজি পর্যন্ত পাঠাতেন স্টিমাচ।
সেই সময়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। সেই ইংরেজি দৈনিকের তরফে প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এবিষয়ে কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন। তদানীন্তন সচিব কুশল দাস অবশ্য স্বীকার করে নেন, ইগর স্টিমাচের সঙ্গে সেই জ্যোতিষীর সাক্ষাৎ করিয়ে দেন তিনিই।
উল্লেখ্য, এর আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, “এশিয়ান কাপে খেলার আগেই জাতীয় দলে (Indian Football Team) একজন মোটিভেটর নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, এক জ্যোতিষ সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে আনা হয়েছে।”
শোনা গিয়েছিল, ভারতীয় দলের সঙ্গে মোট তিনটি সেশনে বসবে ওই সংস্থার জ্যোতিষীরা। খেলার জন্য ফুটবলারদের মোটিভেট করা হবে। জ্যোতিষীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দল গড়েন স্টিমাচ, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে এক ইংরেজি দৈনিকে। যার ফলে ভারতীয় ফুটবলে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।