সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরল শনিবার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে। সেবার স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছ’টা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। আর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডসের বিরুদ্ধে পরপর চারটি ওভার বাউন্ডারি মেরে যুবি বুঝিয়ে দিলেন, এখনও ব্যাট হাতে মারকাটারি হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ম্যাচ শেষে প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার নিজেই আবার জানালেন, কেন পঞ্চম ছক্কাটি মারেননি তিনি।
ঘটনা ম্যাচের ১৮তম ওভারের। শনিবার প্রোটিয়াদের দলের জান্ডার ডি ব্রুনের ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকে টানা ছ’টি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন পাঞ্জাব দা পুত্তর। তাঁর ২৬ বলের দুরন্ত ৫২ রানের ইনিংসে অনায়াসে ম্যাচও জিতে যায় ইন্ডিয়ান লেজেন্ডস। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার শীর্ষে যুবিই। আজও তাঁর হাতে ব্যাট কথা বলে। তাই তো তাঁর অনুরাগীরা প্রশংসা করে বলছেন, ভারতীয় দল থেকে এভাবে তাঁর বাদ পড়াটা এখনও মেনে নেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের শক্ত গাঁটেই স্বপ্নভঙ্গ, আত্মঘাতী গোল ও দুর্বল রক্ষণের খেসারত দিল সবুজ-মেরুন]
কিন্তু প্রশ্ন হল, চারটি ছক্কা মেরেই কেন এ যাত্রায় থেমে গেলেন যুবি? কারণ পরপর চারটে ছক্কা হজম করার পর এমনিতেও যে কোনও বোলারের মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার কথা। রহস্য ফাঁস করলেন খোদ যুবরাজই। জানালেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, ওভারের শেষ বলে পঞ্চম ছক্কাটিও হাঁকাবেন। কিন্তু পরমুহূর্তে সিদ্ধান্ত পালটান। কারণ শেষ দু’ওভারে নিজের হাতে স্টাইক ধরে রেখে বড় রানে পৌঁছতে চেয়েছিলেন তিনি।
শনিবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২০৪ রানের পাহাড় প্রমাণ লক্ষ্য মাত্রা দেয় ইন্ডিয়ান লেজেন্ডস। যুবির পাশাপাশি এই বয়সেও ফের নজরকাড়া পারফরম্যান্স শচীন তেণ্ডুলকরের। ৩৭ বলে ৬০ রান করেন মাস্টার ব্লাস্টার। চলতি টুর্নামেন্টে (Road Safety World Series) এটাই তাঁর প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৪৮ রানেই শেষ হয়ে যায় প্রতিপক্ষের ইনিংস। ৫৭ রানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা করে ফেলল শচীনের দল।