সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সৌরাষ্ট্রর (Saurashtra)। অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাটের (Jaydev Unadkat) সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, তা বোঝা গেল খেলার শুরুতেই। টস জেতার পর পরই সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক উনাদকাট বলেছিলেন, ইডেনের পিচে প্রাণ আছে। এবং শুরুতেই ইডেনের পিচ থেকে সুবিধা নিতে চান তাঁরা। যেমন বলা তেমনই কাজ। জয়দেব উনাদকাট প্রথম ওভারেই ফেরান বাংলার ওপেনার অভিমন্যু ইশ্বরনকে। খাতা না খুলেই ফিরতে হয় তাঁকে। তার পর একে একে নিভিছে দেউটি। পাঁচ-পাঁচটি উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলা (Bengal)। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে বল রেখে বাংলার ব্যাটারদের প্রলোভন দেখান উনাদকাট-চেতন সাকারিয়া। আর বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটাররাও সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। প্রথম ৪৫ মিনিটেই বিধ্বস্ত বঙ্গ-শিবির।
জয়দেব উনাদকাট ঠিক যেখানে প্রথম ওভার শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ওভার শুরু করলেন চেতন। ৩৩ বছর আগের রনজি ফাইনালে অভিষেক ঘটেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এবারের ফাইনালে অভিষেক ঘটে সুমন্ত গুপ্তর। কিন্তু ওপেনার সুমন্ত বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। চেতনের বলে শেলডন জ্যাকসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সুমন্ত (১)। দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের উইকেট খোয়াল বাংলা। আবার আঘাত হানেন চেতন সাকারিয়া।
[আরও পড়ুন: মহিলাদের আইপিএলে চমক আরসিবির, স্মৃতিদের মেন্টর হচ্ছেন সানিয়া মির্জা]
এবার তাঁর শিকার সুদীপ ঘরামি। চেতনের বলটা ছাড়তে গিয়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু ওই বাঁক খাওয়া ডেলিভারিটা যে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হবে তাঁর সামনে, তা কল্পনাও করেননি সুদীপ ঘরামি। চেতনের বলটা অফ স্টাম্প নাড়িয়ে দিল সুদীপের। মহাসংকটে পড়ে যায় বাংলা (Bengal) )। মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট চলে যায় বাংলার। অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারিও উনাদকাটের শিকার। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে মনোজ (৭) ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। বর্ষীয়ান অনুষ্টুপ মজুমদারকে (১৬) ফেরান চিরাগ জানি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলা পাঁচ উইকেট হারিয়েছে। উনাদকাট এবং সাকারিয়া দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন চিরাগ জানি।
টস হারের পরে মনোজ বলেছিলেন, ”টস জিতলে হয়তো আমরাও ফিল্ডিংই নিতাম। তবে টস হারাটা একদিকে ভালই হয়েছে। আমরা স্কোর বোর্ডে রান তুলে সৌরাষ্ট্রকে চাপে ফেলতে চাই।” কিন্তু খেলা শুরু হতেই চিত্রনাট্যে পরিবর্তন। সৌরাষ্ট্রই এখন ম্যাচের উপরে জাঁকিয়ে বসেছে। মিথ হয়ে যাওয়া ইডেন গার্ডেন্সে চাপে বাংলাই।