সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনে (Wrestling Federation of India) কোনও না কোনও নাটক চলছেই। সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সঞ্জয় সিং-সহ (Sanjay Singh) গোটা কমিটিকে আগেই সাসপেন্ড করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক (Sports Ministry of India)। কুস্তিগিরদের লাগাতার প্রতিবাদের জেরে পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের মাঝেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। কুস্তিগিরদের যাবতীয় কাজ চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী অ্যাড-হক কমিটি। তবে এই কমিটি মানতে নারাজ ব্রিজভূষণ সরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) ঘনিষ্ঠ জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি সঞ্জয় সিং।
সঞ্জয় সিং বলেছেন, “যে যাই বলুক, ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের গড়া এই অস্থায়ী অ্যাড-হক কমিটি মানতে নারাজ। আমি এবং আমার কার্যকরী কমিটির সদস্যরা অ্যাড-হক কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং এই ইস্যু নিয়ে অবশ্যই মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।”
[আরও পড়ুন: ‘কয়েকমাস আগেও প্রবল নিন্দা শুনতে হত’, সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও অভিমানী রাহুল]
নির্বাচিত হওয়ার পরেই জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছিলেন নতুন সভাপতি। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে ফেডারেশনের কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি। এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদেরও জানানো হয়নি। এমনটাই অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। এমনকি ক্রীড়ামন্ত্রকের আরও দাবি ছিল, ব্রিজভূষণের নির্বাচনী এলাকায় সেই প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যা নিয়মের পরিপন্থী। আর তাই কমিটি ভেঙে দিয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রক। যদিও সঞ্জয় ফের যোগ করলেন, “কুস্তি ফেডারেশনের হাতে সময় কম ছিল। সেইজন্য জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে কোনও ভুল নেই।”
কুস্তি ফেডারেশনের সংবিধান না মেনে কাজ করার অভিযোগ তুলে সভাপতি সঞ্জয় সিং-সহ গোটা কমিটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আপাতত কুস্তি সংক্রান্ত সমস্ত কাজ দেখবে সদ্য গঠিত এই অ্যাড হক কমিটি। ভুপেন্দ্র সিং বাজওয়ার নেতৃত্বে কাজ করবে এই কমিটি। যেখানে রয়েছেন এমএম সোমায়া এবং মঞ্জুসা কানওয়ারের মতো প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ। যদিও কুস্তি সংস্থার সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের দাবি তিনি এই অস্থায়ী অ্যাড-হক কমিটি মানতে রাজি নন। প্রয়োজন হলে আইনি পদেক্ষপ নেবেন। এমনটাই হুমকি দিয়ে রাখলেন ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ।