ভারত: ২৮৯/৮ (গিল-১৩০, ইশান-৫০, ব্র্যাড ইভান্স-৫৪/৫)
জিম্বাবোয়ে: ২৭৬/১০ (রাজা-১১৫, উইলিয়ামস-৪৫, আবেশ-৬৬/৩)
১৩ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দুটো ম্যাচে এসেছিল অতি অনায়াস জয়। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করল জিম্বাবোয়ে। যে ম্যাচ কেএল রাহুলদের কাছে ছিল নেহাতই নিয়মরক্ষার, সেখানে ঘরের মাঠে সম্মানরক্ষার মহারণে নেমেছিল জিম্বাবোয়ে। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে সেই যুদ্ধে আর জয়ের মুখ দেখা হল না। উলটে জিম্বাবোয়ের মাটিতেই তাদের হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্নপূরণ হল রাহুলের (KL Rahul)।
উইলিয়ামসদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাহুল (৩০)। শিখর ধাওয়ানের (৪০) সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ওপেন করেন তিনি। শুভমন (Shubman Gill) নামেন তিন নম্বরে। আর শুরু থেকেই জিম্বাবোয়ের বোলারদের সঙ্গে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলতে থাকেন। ৯৭ বলে ১৩০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তাঁর অনবদ্য ইনিংস সাজানো ছিল ১৫টি চার এবং একটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। দুরন্ত অর্ধশতরান করেন ইশান কিষান।
[আরও পড়ুন: ছন্নছাড়া ফুটবল, অজস্র সুযোগ হাতছাড়া, ডুরান্ড কাপের শুরুতেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল]
তবে ভারতীয়দের তিনশোর গণ্ডি পার করতে দেননি ব্র্যাড ইভান্স। একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। তবে শুধুই হাত ঘুরিয়ে নয়, শেষ ম্যাচে জয় পেতে ব্যাট হাতেও দারুণ লড়াই দেন উইলিয়ামসরা। দুই ওপেনার হোঁচট খেলেও দলের হাল ধরেন তিনি এবং রাজা। ১১৫ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু তাঁরা আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পরই ফের পাল্লা ভারী হয়ে যায় ভারতের (Team India)।
একের পর এক টেল এন্ডারদের ফিরিয়ে ১৩ রানে ম্যাচ জিতে নেন রাহুলরা। সিরিজের শুরুতে তাঁকে অধিনায়কের আসনে বসানো নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আসলে চোটের কারণে প্রথম নেতা হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল ধাওয়ানের নাম। পরে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করে দলে ফিরলে রাহুলই হন ক্যাপ্টেন। গত ম্যাচে তাঁর ব্যাটে রান আসেনি। কিন্তু ওই যে কথায় বলে, মধুরেণ সমাপয়েত। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিম্বাবোয়েকে চুনকাম করেই সব বিতর্ক জল ঢাললেন তিনি। এবার একই লক্ষ্য নিয়ে টি-২০ টোয়েন্টি সিরিজে নামবেন রাহুল। এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ড্রেস রিহার্সালে কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না টিম ইন্ডিয়া।