সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা ফুটবলবিশ্ব বিষণ্ণ হয়েছিল দৃশ্যটা দেখে। পাক্কা ২১টা বছর বার্সেলোনাতে (Barcelona) কাটিয়ে ন্যু ক্যাম্পের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছেদের মুহূর্তে আর আবেগ সামলাতে পারেননি লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। কেঁদে ফেলেছিলেন প্রকাশ্যেই। ‘ফুটবল-ঈশ্বর’-এর চোখে জল সহ্য হয়নি তাঁর পরম অনুরাগীদের। পরে নিজের চোখের জল মুছে নিতে টিস্যু ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সেই সামান্য টিস্যুই মেসির অশ্রু ছুঁয়ে হয়ে উঠল অমূল্য! এবার সেটিই বিক্রি হতে চলেছে চড়া দামে।
প্রায় দু’দশকের কাছাকাছি সময়ে বার্সেলোনায় থাকার পর এবার প্যারিস সাঁ জঁ-তে (PSG) বিশ্বফুটবলের মহাতারকা। কেবল বার্সেলোনার সমর্থকরাই নয়, কেঁদে ভাসিয়েছিলেন গোটা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকরা। সেই কান্নাতেই বুঝি সংক্রমিত হয়েছিলেন মেসি। বিদায়ী সাংবাদিক সম্মেলনে আর ধরে রাখতে পারেননি চোখের জল। পরে তা মুছে ফেলেন টিস্যুতে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘মিশনস অনলাইন’-এর দাবি সেই টিস্যুর দাম উঠেছে ১০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মূল্যে ৭ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: T-20 World Cup-এ আফগানিস্তানের খেলা নিয়ে সংশয়, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ICC]
জানা যাচ্ছে, আবেগময় ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পরে মেসির ফেলে যাওয়া সেই টিস্যুটি কুড়িয়ে নেন এক ব্যক্তি। অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তিই পরে অনলাইনে টিস্যুটির ছবি দিয়ে জানিয়ে দেন, উপযুক্ত মূল্যে সেটি বিক্রি করতে রাজি তিনি। মূল্যও তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
যতই মেসি চোখ মুছে থাকুন, তা বলে এমন অবিশ্বাস্য দাম? নিজের পোস্টে এর সাফাইও দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই টিস্যুতে মেসির জিনগত উপাদান লেগে রয়েছে। আর চাইলে সেটি দিয়েই তৈরি করা যাবে মেসির ক্লোন!
[আরও পড়ুন: আগামী বছরই IPL হবে ১০ দলের, জল্পনায় সিলমোহর BCCI কর্তার]
তিনি যে ক্যাটালান ক্লাব থেকে বিদায় নিচ্ছেন, এ খবর আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাব ছাড়েন তিনি। যে ক্লাবে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছেন, তাকে বিদায় জানানোর সময় ঠিক কী বলবেন এলএম টেন, তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ক্লাব সদস্য, সতীর্থ এবং মেসির অগণিত ভক্ত। ছ’বার ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি কিছু বলার আগেই কেঁদে ফেলেন। টিস্যু বের করে চোখ মুছতে মুছতেই নিজের বক্তব্য রাখেন। বাচ্চার মতো তাঁর কান্নাই যেন বলে দিচ্ছিল, বার্সার জার্সি আর পরতে না পারার জন্য ঠিক কতখানি কষ্ট পেয়েছেন মেসি। এবার সেই কান্নামোছা টিস্যুও মেসির মতোই ‘কীর্তি’ গড়ার অপেক্ষায়।