স্টাফ রিপোর্টার: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রাহুল দ্রাবিড়। বিরাট কোহলি। এই তিন জনের মধ্যে মিলটা কোথায়?
উপরের তিনই যে খ্যাতনামা ক্রিকেটার, সেটা না বললেও চলে। কিন্তু এ ছাড়াও তিন জনের মধ্যে একটা জায়গায় বড়সড় মিল আছে। তিন জনেরই টেস্ট অভিষেক একই দিনে, ২০ জুন। তফাতটা শুধু পনেরো বছরের।
১৯৯৬ সালের ২০ জুন ইতিহাসের লর্ডসে একই সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বর্তমান ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং ভারতীয় হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid)। আর তার ঠিক পনেরো বছর পর, ২০১১ সালে একই দিনে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেন বিরাট কোহলি। অর্থাৎ, সোমবার কোহলির (Virat Kohli) টেস্ট ক্রিকেটে এগারো বছর পূর্তির দিন ছিল। যা নিয়ে এ দিন ইনস্টাগ্রামে একটা আবেগঘন বার্তাও দেন কোহলি। লিখে দেন, ‘সময় কী ভাবে বয়ে যায়।’ আর কোহলির মতো প্রকৃত ব্যাটিং সাধকের যে ভাবে টেস্টে এগারো বছর পূর্তির দিনটা কাটানো উচিত, তিনি ঠিক সে ভাবেই কাটালেন। ব্যাটিং সাধনায় ডুবে থেকে!
[আরও পড়ুন: স্পেনের রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎ দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা, ভেঙেচুরে গেল রোনাল্ডোর গাড়ি]
ইংল্যান্ডের লেস্টার জায়গাটা এমনিতে বেশ শুনশান। দু’একটা ছুটকো শপিং মল বাদ দিলে বিশেষ ঘোরাঘুরির কোনও জায়গা নেই। নির্জনতাই লেস্টারের সবচেয়ে বড় সঙ্গী। তা, রবিবারই লন্ডনের পাট চুকিয়ে রোহিত শর্মার ভারতীয় টিম লেস্টার রওনা হয়ে গিয়েছিল। আসলে আগামী ২৪ জুন থেকে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচ রয়েছে লেসিস্টাশায়ারের বিরুদ্ধে। রোহিত-কোহলিরা সেই লেস্টারে গত কাল ঢুকে পড়ার পর এ দিন টিমের প্রথম প্র্যাকটিস সেশন ছিল সেখানে। আর কতিপয় দর্শক সেখানে দেখে গেলেন, কোহলির ব্যাটিং সাধনা কাকে বলে?
এক নয়, দু’বার নেটে ঢুকে ব্যাটিং অস্ত্রে শান দিয়ে রাখলেন কোহলি। লম্বা সময় ধরে ব্যাট করার পর সোজা চলে গেলেন ক্যাচিং প্র্যাকটিস করতে। এ দিন নেটে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের যে একাগ্রতা চোখে পড়েছে, যে ভাবে হিট করেছেন তিনি, তাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, বড় রান পাওয়া তাঁর সময়ের অপেক্ষা মাত্র। রানটা কোহলির প্রবল ভাবে চাই-ও। প্রায় তিন বছর হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও সেঞ্চুরি নেই কোহলির।
শেষ সেঞ্চুরি ইডেনে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বল টেস্টে। তার পর থেকে যে সেঞ্চুরি খরা ভোগাচ্ছে বিরাটকে, তার থেকে এখনও বেরোতে পারেননি তিনি। আগামী ১ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে একমাত্র টেস্ট। যে টেস্টের বিশেষ তাৎপর্যও রয়েছে ভারতীয় টিমের কাছে। সেই টেস্ট জিতলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করবে ভারত। আসলে গত বছর ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে ২-১ এগিয়ে থাকা অবস্থায় টেস্ট সিরিজ অর্ধসমাপ্ত রেখে ফিরে আসে ভারত। করোনার কারণে শেষ টেস্ট তখন হয়নি। সেটাই এবার হবে।
বিরাট নিজেও ১১ বছরের ক্রিকেট পরিক্রমার একটি মন্তাজ পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওয় ক্যাপশন হিসেবে লেখা ‘টাইম ফ্লাইজ’। সময় বয়ে যায়। আর এই সময়ে কোহলি গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।