দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৮২/৫ (ডি কক-১৭৪, ক্লাসেন-৯০, হাসান- ৬৭/২)
বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (মহমদুল্লাহ-১১১, রাবাদা-৬২/৩)
১৪৯ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয়ায় বাংলাদেশে বিষাদের সুর। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রোটিয়া আগুনে একেবারে জ্বলেপুড়ে ছারখার শাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। দক্ষিণ আফ্রিকা তো জিতলই, সেই সঙ্গে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে একগুচ্ছে রেকর্ড গড়ে বিদায়বেলার বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখলেন কুইন্টন ডি কক। ব্যাট হাতে নিজের জাত চেনালেন প্রোটিয়া তারকা।
এক ব্যাটার একাই ঝুলিতে ভরেছেন ১৭৪ রান। দলের স্কোর ৩৮২। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ এমনিতেই বেড়ে যাওয়ার কথা। ম্যাচও যেন একপেশে হয়ে যায়। তাও ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যখন একের পর এক উইকেট খোয়াচ্ছে, তখন শেষ পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইটা চালিয়ে গেলেন মহমদুল্লাহ। কিন্তু তা যে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়, তা তিনি নিজেও জানতেন। তবে আত্মসম্মান রক্ষার পরীক্ষায় দায়িত্ব পরায়ণ এবং ধৈর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে রইল তাঁর সেঞ্চুরি। ১১১ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশি মিডল অর্ডার তারকা। কিন্তু দিনটা যে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারই। ভক্তরা যে ততক্ষণে ডি কক নামের মালা জপতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: এশিয়ান প্যারা গেমসে ভারতীয়দের বাজিমাত, দু’দিনে ৩৫ পদক জিতে চার নম্বরে দেশ]
অনবদ্য, অসাধারণ বললেও যেন ডি ককের এ ইনিংসের ব্যাখ্যা সঠিকভাবে দেওয়া যায় না। ১৫টি চার ও সাতটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৪০ বলের ১৭৪ রান করে অতীত বিশ্বকাপের (World Cup 2023) একাধিক রেকর্ডকে লজ্জায় ফেলে দিলেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছেন শতরান। আর সেই সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের একক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন তিনি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল এবি ডিভিলিয়ার্সের। ২০১১ বিশ্বকাপে তাঁর নামের পাশে ছিল জোড়া সেঞ্চুরি। পাশাপাশি বিশ্বকাপের এক ম্যাচে দেড়শোর বেশি স্কোর করা প্রথম উইকেটরক্ষকও হয়ে গেলেন তিনি। পিছনে ফেললেন অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। একদিনের ক্রিকেটে এই নিয়ে তিনবার দেড়শোর বেশি রান করলেন কুইন্টন। ভাঙলেন গিলক্রিস্ট ও জোস বাটলারের ২বার করে ১৫০+ রান করার নজিরও।
৯০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। তবে জয় নিশ্চিত ধরে নিয়ে ফের নিজেদের দুর্বল দিকটা প্রকাশ্যে এনে ফেললেন মারক্রামরা। বারবার চোখে পড়ল বোলিংয়ের ভুল ত্রুটি। যার জেরে শেষ ৪ উইকেট নিতে ২৪টি ওভার খরচ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই হার বিশ্বকাপ থেকে যে বাংলাদেশের বিদায়ের আশঙ্কা অনেকটা বাড়িয়ে দিল, তা বলাইবাহুল্য।