সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২১ বছর আগে আজকের দিনেই ইতিহাস গড়েছিল ভারত। লর্ডসের মাঠে ব্রিটিশদের দর্পচূর্ণ করে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের (Natwest Series) ট্রফি ছিনিয়ে এনেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা (Sourav Ganguly)। ১৩ জুলাই সেই অবিস্মরণীয় ঘটনার বর্ষপূর্তি উদযাপন করলেন সেই দলের ক্রিকেটাররা। ৩২৬ রান তাড়া করে জয়ের মঞ্চ গড়া দুই ক্রিকেটারও স্মৃতিচারণে ডুব দিলেন। আবেগঘন বার্তা লিখেছেন যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। অন্যদিকে, বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে ২১ বছর আগের ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছেন মহম্মদ কাইফ (Mohammad Kaif)।
২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছিল ভারত। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে পিছনে ফেলে গ্রুপের শীর্ষে ছিল মেন ইন ব্লু। তবে ফাইনাল ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক নাসের হুসেনের সেঞ্চুরিতে ৩২৫ রানের পাহাড় গড়ে তারা। সমানে সমানে লড়াই করতে ছাড়েনি ভারতও। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও সৌরভের যুগলবন্দিতে মাত্র ১৫ ওভারেই ১০৬ রান উঠে যায়। কিন্তু মাঝের ওভারগুলিতে চাপে পড়ে ভারত। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন যুবরাজ-কাইফের জুটি। তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। তারপরেই বাঙালির গর্বের সেই মুহূর্ত-লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি ওড়াচ্ছেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা।
[আরও পড়ুন: দেশের বাজারে বাড়ছে দাম, চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পথে কেন্দ্র!]
ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ৭৫ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কাইফ। ২১ বছরের আগের ম্যাচ আবারও ফিরে দেখলেন সেদিনের নায়ক। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে কাইফ লিখেছেন, ” মায়ের কথায়, ‘আমি তো ফাইনালটা লাইভ দেখতে পাইনি। তবে আল্লার আশীর্বাদে হাজার বার ওই ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি।’ দাদাকে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) লর্ডসের ব্যালকনিতে দেখে বাবা খুব খুশি হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, কাইফকে দেখে নাকি ট্রাক ড্রাইভার মনে হয়েছিল নাসের হুসেনের। অন্যদিকে, ফাইনাল ম্যাচে ভারত হারবে ধরে নিয়েই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কাইফের বাবা-মাও।
অন্যদিকে, ৬৩ বলে ৬৯ রান করে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আবেগঘন পোস্ট করেছেন তিনি। টুইটারে ক্যানসারজয়ী ক্রিকেটার লেখেন, “আজকের দিনেই লর্ডসের মাটিতে আমরা তেরঙ্গা উড়িয়েছিলাম। তবে এই সিরিজে ক্রিকেটের পাশাপাশি নানা রকমের ‘টেস্টে’র মধ্যে পড়তে হয়েছিল। সতীর্থদের অবদান না থাকলে অবশ্য এই জয় পেতাম না। বিশেষ করে মহম্মদ কাইফের কথা বলতেই হবে।”