স্টাফ রিপোর্টার: বুর্জ খলিফার মণ্ডপ নিয়ে গতবছর শারদীয়ায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবকে। তবে সেসব বিতর্ক দূরে সরিয়ে এবার ফের চমক দিতে চলেছে মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো। এবারের দুর্গাপুজোর থিম রোমের ভ্যাটিকান সিটি। শুধু তাই নয়, পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে মাতৃপ্রতিমা ডাকের সাজের পরিবর্তে পুরো ২২ ক্যারেটের সোনায় মোড়া থাকবে।
শুক্রবার রথযাত্রার দিন সাংসদ অভিনেতা দেব, ক্রিকেটার মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিকে নিয়ে মণ্ডপের খুঁটিপুজো সেরেই মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়ে দিলেন, চলতি বছর পুজোর (Durga Puja 2022) থিম ক্যাথলিকদের তীর্থভূমি ভ্যাটিকান সিটি। বছর পাঁচেক আগে রোমে গিয়ে বিশ্ববন্দিত ভ্যাটিকান সিটির শিল্পশৈলী দেখে বিস্ময়াবিষ্ট হন সুজিত বসু। শ্রীভূমির (Sreebhumi Sporting Club) মণ্ডপশিল্পী রোমিও হাজরা সুজিতকে আশ্বস্ত করেছেন, ফাইবারের বহু মূর্তি যেমন ভ্যাটিকানের চারপাশে ও ভিতরে থাকবে তেমনই দেওয়ালের পেন্টিংয়ে ফুটে উঠবে দ্য ভিঞ্চির মতো বিশ্ববন্দিত নানা শিল্পীর তুলির টানের প্রতিরূপ। মণ্ডপের দেওয়ালজুড়ে বিশ্বখ্যাত ছবিগুলির প্রতিবিম্ব আঁকবেন কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের প্রখ্যাত শিল্পীরা।
[আরও পড়ুন: পড়াশোনার চাপে খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ, মায়ের বকাবকির পর আত্মঘাতী মেধাবী কলেজছাত্রী]
ভ্যাটিকান প্রসঙ্গে সুজিত (Sujit Bose) জানান, “স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকেই ভ্যাটিকানের কথা সবাই পড়ে। কিন্তু অধিকাংশেরই রোমে পৌঁছে তা দেখার সৌভাগ্য হয় না। দুবাইয়ে গিয়ে বুর্জ খলিফাও দেখতে পারেন না। তাই সবার জন্যই ছেলেবেলা থেকে শুনে আসা, বইয়ে পড়া ক্যাথলিক তীর্থ ঘরের পাশে চাক্ষুষ করাতে দুর্গাপুজোর থিম ভ্যাটিকান সিটি করা হল। ভ্যাটিকান সিটি মডেল নিখুঁতভাবে শ্রীভূমির মণ্ডপে গড়ে তুলতে মণ্ডপের শিল্পী ও কর্মীদের একটা টিম রোমে পাঠাব।” সূত্রের খবর, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন থেকেই সুজিতের ভ্যাটিকান সিটির মণ্ডপে পা রাখতে পারবে উৎসবমুখর বাংলা।
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণীর খুঁটিপুজো হয়। চেতলা অগ্রণীর এবারের থিম ‘ষোলো কলায় পূর্ণ’। খুঁটিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির বিষয়কে সম্মান জানিয়ে চেতলা অগ্রণীর পুজোর ট্যাগলাইন, ‘বিশ্বজনীন দুর্গোৎসব’। এদিকে, রাজডাঙার নব উদয় সংঘও খুঁটিপুজো সেরে থিম ঘোষণা করেছে। তাদের সৃজনের পোশাকি নাম ‘হোক শপথ/দূষণমুক্ত হোক পৃথিবী।’