সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই থেকেই উপত্যকায় রীতিমতো সিঁটিয়ে রয়েছেন সাংবাদিকরা। ফের যার প্রমাণ মিলল। গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে পুলিশের লাঠি খেয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন জম্মুর একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের চিত্রসাংবাদিক শাহিদ খান। তাঁর ডান কাঁধে চিড় ধরেছে।
[আরও পড়ুন: দিনের শুরুতেই ধস শেয়ার বাজারে, ২৫০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স]
শাহিদের কথায়, শ্রীনগরের রায়নাওয়াড়ি এলাকায় তিনি মহরমের মিছিলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও পাঁচজন চিত্রসাংবাদিক। অভিযোগ, আচমকাই পুলিশ এসে তাঁদের বেধড়ক মারতে শুরু করে। পুলিশ নাকি শাহিদকে মারার সময় জিজ্ঞেস করেন, “ভিডিও তুলে কেন আমাদের ঝামেলা বাড়াচ্ছ?’’ আসলে এভাবেই নানা ঘটনা সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গোটা উপত্যকাতেই সাংবাদিকরা কাজে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বাধা পেরনোর চেষ্টা করলেই জুটছে পুলিশের মার। এমনকী খবরের স্বার্থে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সরকারি কোনও আধিকারিকের সঙ্গেও। কাশ্মীরের প্রবীণ সাংবাদিক নাসির এ গনাই এও জানিয়েছেন, সাংবাদিকরা কোত্থেকে খবর বের করছেন, তা জানতে প্রশাসনের তরফে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তবে একা শাহিদের হয়, পুলিশের হুমকি ও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক চ্যানেলে কর্মরত শাহানা বাট পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। উপত্যকার আরেক মহিলা সাংবাদিক রিফাত মহিদিন জানান, শুধু সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না পুলিশ, তাঁদের পরিবারকেও টার্গেট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “তিন কিলোমিটার পথে আমাকে অন্তত পনেরোবার আটকানো হয়। জাহাঙ্গির চকের কাছে আসতেই নিরাপত্তারক্ষীরা আমায় ফিরে যেতে বলে। আমি তাদের খারাপ ব্যবহার করতে বারণ করতেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আমার গাড়িতে লাগাতার ধাক্কা মারতে থাকে ওরা। পরিবারের নামে গালিগালাজ করে। এও জানাই, আমার কাছে ফার্ফু পাস রয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষে এক সিআরপিএফ জওয়ানের সাহায্যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।” তবে অনেকেই বলছেন, কাশ্মীরের এ ছবি নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে কার্ফু এবং নিষেধাজ্ঞার সময় খবর সংগ্রহে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় সাংবাদিকদের।
[আরও পড়ুন: ‘কখনও হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি’, সাফাই অমিত শাহর]
The post ‘নরক’ হয়ে উঠেছে শ্রীনগর, পুলিশের বেধড়ক মারে শয্যাশায়ী সাংবাদিক appeared first on Sangbad Pratidin.