সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার। কিন্তু তা করে ১৬ বছরের নাবালিকা সোজা পৌঁছে গেলেন বিবাহ আসরে। বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। মহারাষ্ট্রে বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এসএসসি বোর্ডের অঙ্ক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল মহারাষ্ট্রের বিড জেলার এক নাবালিকার। কিন্তু তার বাড়ির লোক আগেভাগেই ওই দিন তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন। ফলে স্কুল ইউনিফর্ম তুলে রেখে কনের সাজে ছাদনাতলায় পৌঁছে গিয়েছিল সে। গোটা ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পার্লি তেহসিলের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১৫০-২০০ জন এবং আত্মীয়দের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রনোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের তরফেই।
[আরও পড়ুন: কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে কৌস্তবের বাড়িতে? পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের]
এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের এবং ২১ বছরের নিচের ছেলেদের বিয়ে বেআইনি। তাই আইনবিরুদ্ধ ভাবেই ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ের ব্য়বস্থা করায় বিপাকে ওই ছাত্রীর পরিবার। গ্রামের প্রধানের কাছে গেলে তিনিও জানতে চান, কেন আইন ভেঙেছে ওই পরিবা। যদিও নাবালিকা কনের বাড়ির লোকেরা এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব সমাজকর্মী তত্বশীল কাম্বলি। তাঁর দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর সেই গ্রামে পৌঁছেছিল পুলিশ। ফলে এবার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়, সেটাই দেখার।