অর্ণব আইচ: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে বন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। শুক্রবার তাঁদের হেফাজত শেষে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে সওয়াল-জবাবেই উঠে এল অর্পিতার নিরাপত্তা প্রসঙ্গ।
সরকারি আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির বক্তব্য, অর্পিতার জীবন সংশয় (Life Threat)আছে। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হোক। পালটা অর্পিতার আইনজীবীর দাবি, ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি’ হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করে জেলে রাখা হোক। এই মুহূর্তে অর্পিতা রয়েছেন ইডি হেফাজতে, সল্টলেকের (Salt Lake) সিজিও কমপ্লেক্সের লকআপে। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকবেন অর্পিতা। আলিপুর সংশোধনাগারে রাখা হবে তাঁকে।
[আরও পডুন: সাঁইথিয়ার সভার আগেই শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি দেওয়া পোস্টারে ছয়লাপ এলাকায়, অস্বস্তিতে BJP]
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় অর্পিতার আইনজীবী আরও একটি বিষয়ে বিচারকের নজরে আনেন। নিরাপত্তা যথাযথ রাখতে অর্পিতাকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলেও তাঁর মক্কেলকে জল ও খাবার পরীক্ষা করে দেওয়া হোক। কারণ, তাঁর জীবন সংশয় রয়েছে। ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি’র নিরাপত্তায় এ ধরনের জোর দেওয়া হয়ে থাকে বলে দাবি তাঁর।
[আরও পডুন: ১৩ বছরের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, সন্তানের জন্ম নাবালিকার]
এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য জোর সওয়াল করেন। প্রভাবশালী তত্ত্ব কার্যত খারিজ করে জামিনের পক্ষে যুক্তি সাজান। আর অর্পিতার আইনজীবী ঠিক উলটোপথে হেঁটেছেন। এদিন অর্পিতার জামিন নয়, জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে অর্পিতা ও পার্থ, ২ জনকেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ১৮ আগস্ট তাঁদের ফের পেশ করা হবে আদালতে।