গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার। সেই শূন্য পদে চাকরি করছেন মামলাকারী ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, যেদিন মন্ত্রীকন্যা কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেই দিন থেকে অর্থাৎ ৪১ মাস ধরে তাঁর বেতন ফেরত দিতে হবে ববিতাকে। ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের নির্দেশে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা সেই টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছে বলেও আদালতে জানান অঙ্কিতার আইনজীবী। তবে এপর্যন্ত হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ববিতা কোনও টাকা পাননি বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। বুধবার হাই কোর্টে সেকথা জানান তিনি। তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ধার্য করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি (SSC) পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল মেধাতালিকা। সেখানে ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল তাঁর। সাধারণত প্যানেল লিস্টে থাকা কর্মপ্রার্থীদের চাকরি হওয়ার পর ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের পালা আসে। তাই আশায় বুক বেঁধে বসেছিলেন শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার। কিন্তু সেই চাকরি আর জোটেনি। তারই মধ্যে তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মপ্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক’, বিস্ফোরক দাবি মিঠুনের]
দেখা যায়, ববিতা সরকারের নাম রয়েছে ২০ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম চলে গিয়েছে ২১ নম্বরে। অদৃশ্য হাতের ম্যাজিকে এক নম্বরে পৌঁছে গিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। এরপরই ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ববিতা সরকার। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ৪৩ মাস স্কুলে চাকরি করাকালীন প্রাপ্ত বেতনও ফেরার দেওয়ার কথা বলা হয়।
সেই মতো প্রথম কিস্তিতে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রীকন্যা। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অঙ্কিতার শূন্যপদে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। তবে তাঁর প্রাপ্ত বেতনের টাকা পাননি লড়াকু ববিতা। বুধবার হাই কোর্টে সেকথাই জানান আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ধার্য করেছে আদালত। কী বলেন বিচারপতি, সেদিকেই নজর সকলের।