কৃষ্ণকুমার দাস: রাশি রাশি টাকা। থরে থরে সোনা-গয়না। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, সেটা কারও অজানা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এর বাইরে আর কোথায় সম্পত্তি আছে অর্পিতার? পার্থরই বা নামে, বা বেনামে সম্পত্তির পরিমাণ কত? কী বলছে ইডি?
ইডি (ED) সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অর্পিতার যা যা সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে এবং যে যে সম্পত্তির দিকে তাঁদের নজর রয়েছে, তার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০০ কোটির টাকারও বেশি। এর মধ্যে অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যেই ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়ে গিয়েছে। অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে ৫৬ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা ও ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। যার মধ্যে রয়েছে ২টি সোনার ঘড়ি, একটি সোনার পেন, এক কেজি করে ৩টি সোনার বাট, ৫০০ গ্রাম করে ৬টি কাঁকন, একাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির দলিল।
[আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মহিলা এখন ইনিই, চিনে নিন ভারতের এই শিল্পপতিকে]
এর বাইরেও বহু সম্পত্তি রয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল অভিনেত্রীর। অর্পিতার নামে রয়েছে প্রায় এক কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট (FD)। এছাড়াও প্রচুর শেয়ারের কাগজ, সম্পত্তির দলিল এবং রয়েছে ১৮টি দামি মোবাইল ফোন। এবার আসা যাক স্থাবর সম্পত্তির হিসাবে। এখনও পর্যন্ত ক্লাবটাউন, এমএম ফিডার রোড, বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়া, ৮ নং ইস্ট বালিগঞ্জ প্লেসে অর্পিতা বা তাঁর সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের বাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর বাইরে শান্তিনিকেতনে ‘অপা’ নামের বাগানবাড়ি, জাঙ্গিপাড়ায় মামারবাড়ির কাছে নিজস্ব বাড়ি, ভাঙড়ের তাড়দহে ১০ বিঘা জমি এবং পঞ্চসায়রের নয়াবাদে বাড়ির হদিশ মিলেছে। এসবের বাইরেও ইডির নজরে রয়েছে শান্তিনিকেতনের তিতলি ও ইচ্ছে নামের দু’টি বাড়ি এবং লাবণ্য গেস্টহাউস, টেক্সটাইল সংস্থা। অর্পিতার নামে বেনামে থাকা ৪টি গাড়ি ইতিমধ্যেই উধাও হয়ে গিয়েছে। সেদিকেও নজর রয়েছে ইডির।
[আরও পড়ুন: বালিশের সঙ্গে সঙ্গম, সহপাঠীদের নিয়ে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য! ভয়ংকর র্যাগিংয়ের শিকার ডাক্তারি ছাত্রী]
এতো গেল অর্পিতার সম্পত্তি। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নামেও বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটিতে পার্থর পেন্ট হাউস রয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রের। সেখানেই রয়েছে সারমেয়দের জন্য একটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও বারুইপুরে মেয়ের নামে বাড়ি রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বানতলায় পাঁচশত পাড়ায় ২০-২৫ বিঘা জমি এবং ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া এলাকায় ৪০ বিঘা জমিতে ফার্মহাউসের সন্ধান ইতিমধ্যেই পেয়েছে ইডি। তবে এর অধিকাংশই রয়েছে বেনামে।