অর্ণব আইচ: কুন্তল-শান্তনুকে চেনেন না। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে এমনই দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। এদিন তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) তদন্তকারী অফিসাররা। আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি কি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের চেনেন?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি কাউকে চিনি না। ওঁরাও (কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছে আমাকে চেনে না।” এরপর সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ওঁরা যে বলছে টাকা দিয়েছে? সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি দেননি। আদালতে সওয়াল জবাবের পর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণ: ৪৮ ঘণ্টা পর মিলল সাফল্য, ওড়িশা থেকে পুলিশের জালে ভানু বাগ]
প্রাথমিক ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপাতত জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। একাধির মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু তিনি সেই জরিমানা জমা করেননি বলে অভিযোগ। তাই এবার সরাসরি সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
ইডির দাবি, ২০১২ সাল থেকে অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতির রমরমা অবস্থার শুরু থেকে অন্তত ২০বার বিদেশ সফরে গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার। বিদেশ সফরের তালিকায় ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশ রয়েছে। প্রতিটি সফরে খরচ হয়েছে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই কি বিদেশ সফর? তদন্ত করে দেখছে ইডি।