বিশেষ সংবাদদাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধারের পর তৃণমূলের মধ্যেই আওয়াজ উঠেছে, কেন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাওয়াই দল কার্যকর করল না? অভিষেক যখন নির্দিষ্ট কারণে নির্দিষ্ট কিছু মুখকে মন্ত্রিসভা ও দলের বড় পদ থেকে সরাতে বলেছিলেন, তখন সেই কথা শোনা হয়নি। উলটে অভিষেককেই কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছিল। তখন এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও জনাকয়েক সিনিয়র তৃণমূল নেত্রীর উপর প্রভাব খাটিয়ে দলের দখলদারি নিতে গিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ভোটের পর এই ধরনের ইস্যুতেই শপথ বয়কট করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর কাছে কয়েকজন নেতা সম্পর্কে তথ্য আসতে শুরু করে। সব খতিয়ে দেখে অভিষেক ঠিক করেন কিছু মুখকে সরিয়ে দিয়ে নতুন মুখ সামনে আনা হবে। এই উদ্যোগ ভেস্তে দিতে মরিয়া হন কিছু সিনিয়র। কিন্তু এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কারণে যেভাবে দলকে ডুবতে হল, তাতে ইমেজ ফেরানো কঠিন কাজ বলে মনে করছে দলের বড় অংশ।
[আরও পড়ুন: রাতভর জেরার পর নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়]
এত কষ্ট করে দলকে ঘুরে দাঁড় করাচ্ছিলেন অভিষেক, এত বড় সমাবেশ হল, সব জলে চলে গেল পার্থর জন্য। আগামী ক’দিন এজেন্সির তৎপরতা আরও বাড়বে। এদিকে তৃণমূলের মধ্যেই জল্পনা চলছে অবিলম্বে সব মন্ত্রী ইস্তফা দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপর মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে গুটিকয় নেতা জায়গা আটকে জমিদারি চালাচ্ছেন, তার অবিলম্বে অবসান দরকার বলে তৃণমূলের ভিতরে জোর জল্পনা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর চক্রের দুতিনজন নেতা নানাভাবে নেত্রীকে প্রভাবিত করে চলেছেন। এই অপচক্রের কারণেই তৃণমূলকে আজ এইভাবে অপদস্থ হতে হল বলে সকলের বিশ্বাস। অবিলম্বে দল ও সরকারকে ঢেলে সাজানোর কাজ করতে কড়া অবস্থান না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে বলে দলের বড় অংশের বক্তব্য। এঁরা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অবিলম্বে অভিষেকের বলা মডেল দলে চালু করুন।