স্টাফ রিপোর্টার: একটা নয়। দু’ দুটো বল। একটার সাইজ ফুটবলের মতো। অন্যটা ক্রিকেট বলের আকারের। মূত্রথলির পিছনে তারা ঘাপটি মেরে ছিল। যার জেরেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। প্রস্রাব হচ্ছিল ফোঁটা ফোঁটা।
স্থানীয় নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা যে খরচের হিসাব দেন তাতে নিম্নবিত্ত পরিবারটির মাথায় হাত। মাত্র দু’টাকায় জটিল অস্ত্রোপচার করে সাত বছরের প্রতিমা হালদারকে নতুন জীবন দিল SSKM। ইউনিট ওয়ান সার্জারি বিভাগের দক্ষতাতেই নয়া জীবন পেয়েছে শিশুটি।
[আরও পড়ুন: ভিডিও মুছেও মিলল না রেহাই, নুপূর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদের গ্রাফিক্স বানিয়ে গ্রেপ্তার কাশ্মীরের ইউটিউবার]
শিশু শল্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুচিরেন্দু সরকার জানিয়েছেন, এসএসকেএমে যখন মেয়েটি আসে তখন তার তলপেটটা মারাত্মক রকম ফুলে ছিল। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পরে দুটো টিউমার বার করে শিশুটিকে জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনন্দপুর থানার চৌবাগা এলাকার বাসিন্দা প্রতিমার মা জ্যোৎস্না জানিয়েছেন, গত আড়াই-তিন বছর ধরেই ক্রমশ ফুলে শক্ত হচ্ছিল তলপেট।
এই পরিস্থিতিতে এসএসকেএমে সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় মূত্রথলির পিছনে দুটি টিউমারের একটা ১৫ সেন্টিমিটার বড়। ডা. রুচিরেন্দু সরকারের নেতৃত্বে ডা. শিবশঙ্কর মিত্র, ডা. অভিজিৎ বর্মন, ডা. সপ্তর্ষি পোদ্দার অস্ত্রোপচার করেন। ডা. সপ্তর্ষি পোদ্দারের কথায়, নাভি থেকে নিচ অবধি বিস্তৃত ছিল টিউমার দু’টো। টিউমার দু’টি বাদ দেওয়ার পরে বায়োপসি করা হয়েছে। আপাতত তার রিপোর্টের অপেক্ষাতেই ডাক্তারবাবুরা।