সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা রমজান মাস জুড়েই সীমান্ত ও কাশ্মীর উপত্যকাকে উত্তপ্ত করে রেখেছিল পাক রেঞ্জার্স, তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। বাদ গেল না ইদও, নিজেদের বদ চরিত্র বজায় রেখে আনন্দের মরশুমে সমগ্র উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করল তারা। শ্রীনগরের পান্থা চকে শনিবার দুপুরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাক রেঞ্জার্সরা। ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া হল গুলি। ঘটনায় ইতিমধ্যে শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান৷ এখানেই শেষ নয়, শনিবার উপত্যকার একাধিক স্থানে আইএসের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। এমত চরম উত্তপ্ত পরিবেশে খুশির ইদ উপলক্ষে ওয়াঘা সীমান্তে পরস্পরের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ বন্ধ রাখল ভারত-পাক সেনা।
[প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী! পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ওড়িশার যুবকের]
রমজান উপলক্ষে কাশ্মীরে শর্তসাপেক্ষে জঙ্গি দমন অভিযান বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই করেছিল কেন্দ্র৷ কিন্তু পাকিস্তান তাদের যুদ্ধবাজ মেজাজ বজায় রাখে৷ পবিত্র রমজান মাসের তোয়াক্কা না করেই ভারতকে বারবার টার্গেট করে চলেছে তারা। সূত্রের খবর, ভারতে প্রবেশ করানোর জন্য ইতিমধ্যেই সীমান্তের ওপাড়ে প্রায় দশজন লস্কর জঙ্গিকে মজুত করেছে পাকিস্তান। গুলির লড়াইয়ে সেনাকে ব্যস্ত রেখে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য পাক রেঞ্জার্সদের। কেবল কাশ্মীরে জঙ্গি প্রবেশ করিয়েই ক্ষান্ত থাকছে না পাকিস্তান। পাশাপাশি উপত্যকায় সমান তালে কাজ চালাচ্ছে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের মগজধোলাই করে তারা যোগদান করাচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীতে এবং লেলিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে৷ সীমান্ত টপকে জঙ্গি সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র৷ যার ফলে উৎসবের আবহেও উপত্যকায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর পতাকা নিয়ে মিছিল করার সাহস পেল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷ এমনই মনে করা হচ্ছে৷ কেবল তাই নয়, সেনাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর৷ সেনার গুলিতে ইতিমধ্যে নিহত হয়েছে এক পাথরবাজ৷
[দু’বছরের মধ্যে ২২ শহরে ফুরোবে ভূ-গর্ভস্থ জল, চিন্তায় কেন্দ্র]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সোপিয়ান থেকে ভারতীয় জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা৷ শুক্রবার, পুলওয়ামার কালামপোরা থেকে উদ্ধার হয়েছিল অপহৃত জওয়ানের মৃত দেহ৷ হিজবুল জঙ্গিনিধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জওয়ান ঔরঙ্গজেব৷ কোনও সন্দেহের অবকাশই নেই যে, প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে৷ ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই সমস্ত ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই৷ পাক রেঞ্জার্স ও আইএসআই-য়ের জোরেই উপত্যকায় একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন তীব্র চালাতে পারছে হুরিয়ত৷ পাশাপাশি সীমান্তেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক রেঞ্জার্স৷ যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সীমান্তবর্তী গ্রামের নিরীহ নাগরিকরা৷ প্রাণ গিয়েছে মাত্র ছ’মাসের শিশুরও৷ হিসাব মতো চলতি বছরের এখনও পর্যন্ত হাজারেরও বেশি সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান৷ ইদ মিটলেই যার কড়া উত্তর দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত৷
The post ইদেও উত্তপ্ত উপত্যকা, ওয়াঘা বর্ডারে মিষ্টি বিতরণে বিরত থাকল ভারত-পাক appeared first on Sangbad Pratidin.