সুব্রত বিশ্বাস: পাঁচদিনের মধ্য়ে দু’বার হামলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express)। রবিবার ফের বিহারের বারসই থেকে সেমি হাইস্পিড ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন যাত্রীদের একাংশ। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি রেল পুলিশ দুটি জায়গায় ট্রেনটি পরীক্ষা করে। প্রাথমিকভাবে ট্রেনের দেওয়াল বা দরজায় আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে দাবি আরপিএফের (RPF)। তবে যাত্রীদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনই জানিয়েছেন কাটিহার ডিভিশনের আরপিএফ কমান্ডান্ট।
রবিবার নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বিকেল নাগাদ বিহারের (Bihar) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। বারসই ছাড়ার পর সি১১ (C11)কোচে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় আরপিএফ। বারসইয়ের পর একটি স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেওয়াল কিংবা দরজায় আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
[আরও পড়ুন: নাবালিকার শরীরে নিষিদ্ধ ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ চিকিৎসকের, ব্যবস্থার নির্দেশ পকসো আদালতের]
এরপর ট্রেনটি ফের মালদহে পৌঁছলে ফের পরীক্ষা করেও কিছু পাওয়া যায়নি বলে দাবি আরপিএফের। তবে সি ১১ কোচে যে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল, সে বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এ বিষয়ে কাটিহার (Katihar)ডিভিশনের কমান্ডান্ট কমল সিং জানিয়েছেন, ”যাত্রীরা পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ করেছেন। আমরা সেই অভিযোগ গুরুত্ব সহকারেই খতিয়ে দেখছি। কিন্তু প্রাথমিকভাবে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। সিসিটিভি ফুটেজ ভালভাবে খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পেয়ে সব জায়গায় আরপিএফকে সতর্ক করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ করলেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে! আজব দাবি পাক মন্ত্রীর]
এর আগে ৩ জানুয়ারি মালদহ ছাড়ার পর হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়া হয়। তাতে একটি কোচের দরজা ভেঙে যায়। এ নিয়ে যাত্রীমহলে শোরগোলের পাশাপাশি রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে ওঠে। পরে তদন্তে দেখা যায়, বাংলার কোনও স্থান থেকে নয়, পাথর ছোঁড়া হয়েছিল বিহারের একটি জায়গা থেকে। প্রসঙ্গত, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার পথে বিহারের একটি অংশ পেরতে হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে। সেদিনের ঘটনায় ৪ নাবালককে চিহ্নিত করে আটক করেছে রেল পুলিশ।