সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জার টেস্ট সিরিজ হার পাকিস্তানের। তিন ম্যাচের সিরিজে বেন স্টোকসরা হোয়াইটওয়াশ করেছেন বাবর আজমদের। আর তারপর থেকেই পাক সমর্থক ও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের রোষের মুখে পড়েছেন বাবর। তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবিও উঠেছে নেটদুনিয়ায়।
ইংল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় টেস্ট হারতেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (WTC Final 2023) পৌঁছনোর আশাও শেষ হয়ে যায় বাবরদের। কিন্তু ঘরের মাটিতে শেষ টেস্টেও সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে পরাস্ত হয় হোম ফেভারিটরা। এর আগে ‘জিমবাবর’ টিটকিরি শুনে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল বাবরকে। তৃতীয় তথা শেষ টেস্টেও তাঁদের জঘন্য পারফরম্যান্সে হতাশ ও বিরক্ত সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, চুনকাম হওয়ার জন্যই কি ইংল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল? এরপরই বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবি ওঠে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি ওরকম করেছি কারণ…’, সোনার গ্লাভস নিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গির ব্যাখ্যা দিলেন মার্টিনেজ]
তবে শুধু পাক সমর্থকরাই নন, বাবরের পারফরম্যান্স ও নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন পাক স্পিনার দানিশ কানেরিয়াও। সাফ জানিয়ে দেন, কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে বাবরের তুলনা একেবারেই চলে না। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রীতিমতো তোপ দেগে কানেরিয়া বলেন, “বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবর আজমের তুলনা বন্ধ হওয়া উচিত। কোহলি, রোহিত শর্মারা অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। পাকিস্তান দলের কাউকেই তাঁদের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ওঁদের নিয়ে কথা হলেই নিজেদের রাজা মনে করেন ওরাঁ। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে রেজাল্ট চাইলে ফল মেলে শূন্য।”
এরপরই যোগ করেন, “অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজম (Babar Azam) একটা বড় শূন্য। দল পরিচালনার যোগ্যতাই নেই। বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে। বেন স্টোকস, ব্রেন্ডন ম্যাকালামের থেকে ওঁর নেতৃত্ব শেখা উচিত। সেটা না পারলে নিজের ইগো সরিয়ে রেখে সরফরাজ আহমেদকে অধিনায়কত্ব দিয়ে দিক।” যদিও বাবরের দাবি, দেশের জন্য তিনি নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন। সব মিলিয়ে হাজারো সমালোচনায় বিদ্ধ নেতা বাবরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।