সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন রাহুল গান্ধী। এখন তাঁর উচিত হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট সফরে যাওয়া।” এমনটাই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো সারদিনহা। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাহুল গান্ধীর এই ‘লং মার্চ’ দলের অন্দরেই আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে?
সোমবার লোকসভার সাংসদ সারদিনহা বলেন, “কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে। এই ভারত জোড়ো যাত্রা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও চাই তৃণমূল স্তরে দল শক্তিশালী হয়ে উঠুক। রাহুল গান্ধী খুব ভাল কাজ করছেন। কিন্তু এখন তাঁর এই যাত্রা বন্ধ করা উচিত। এখন তাঁর উচিত হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট সফরে যাওয়া। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া।” উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ নভেম্বর। একদিনেই শেষ হবে ভোটদান। ফলাফল ঘোষণা হবে ৮ ডিসেম্বর। এদিকে, গুজরাটে (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ন্যায়বিচার না পেলে পণ্ডিত হত্যা বন্ধ হবে না, বিস্ফোরক ফারুক আবদুল্লা]
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছে কংগ্রেস (Congress)। দলকে ফের চাঙ্গা করে বিজেপিকে লড়াই দিতেই এই উদ্যোগ সোনিয়া-রাহুলের। ১৫০ দিনের এই যাত্রায় রাহুল গান্ধীর প্রায় ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার কথা। কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে থামবে এই যাত্রা। তবে এই যাত্রার রুটে নেই পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাটের মতো রাজ্য।
এদিকে, আজ সোমবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে দেশজুড়ে ভোটদান হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটদান প্রক্রিয়া চলে। নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ১৯ অক্টোবর। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরের মধ্যে কে বাজিমাত করবেন তা সময়ই বলবে।