সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাস কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির পর্দাফাঁস। রোগীর পরিবারের লোকদের মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ। গ্রেপ্তার বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের স্টোরকিপার পলাশ দত্ত। শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, রোগীর শরীরে ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বসানো সংক্রান্ত ফাইল আটকে রেখে টাকা চান অভিযুক্ত। রাজি না হওয়ার রোগীর পরিবারের লোকদের মারধর করেন সরকারি হাসপাতালের স্টোরকিপার। শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ।
[অবতরণের সময় রানওয়েতে ছড়িয়ে পড়ল বিমানের জ্বালানি, প্রাণে বাঁচলেন ২০০ যাত্রী]
এ রাজ্যের সেরা সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। এই হাসপাতালের একেবারেই লাগোয়া বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স বা BIN। বস্তুত, এই হাসপাতালটি এসএসকেএম-রই একটি শাখা। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয় বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও বহু রোগী আসেন এই সরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসার জন্য তো নয়ই, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জামও মেলে নিঃখরচায়। অভিযোগ, ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসের জন্য রোগীর পরিবারের কাছে টাকা চেয়েছিলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের স্টোর কিপার পলাশ দত্ত। শুধু তাই নয়, টাকা না পেয়ে রোগীর পরিবারের লোকেদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন তিনি। শনিবার রাতে অভিযুক্ত স্টোরকিপারকে গ্রেপ্তার করল ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[ফের শহরে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু, বাড়ি থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ]
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা দেখা দিলে, রোগীর শরীরে ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস নামে একটি যন্ত্র বসানো হয়। যন্ত্রটির দাম প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। বছর তেইশের এক যুবক ভরতি হয়েছিলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ওই যুবকের ধমনীতে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করছে না। রোগীর শরীরে ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বসাতে হবে। কিন্তু, ব্যয়বহুল এই যন্ত্রটি কেনার মতো টাকা ছিল না পরিবারের। নিঃখরচায় ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস পাওয়ার জন্য তাঁদের হাসপাতালে স্টোরকিপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ফাইল আটকে রেখে টাকা চান বাঙুর ইনস্টিটিউটের স্টোরকিপার পলাশ দত্ত। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের কর্মীকে ঘুষ দিতে রাজি হননি রোগীর পরিবারের লোকেরা। এরপরই তাঁদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত মারাও যান বছর তেইশের ওই যুবক। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেন মৃতের পরিবার লোকেরা।
[স্বামী ভাগাড় চক্রের পাণ্ডা, জানার পর থেকেই রান্না বন্ধ ‘মাংস বিশু’র বাড়িতে]
The post রোগীর পরিজনকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার হাসপাতালের স্টোরকিপার appeared first on Sangbad Pratidin.