দীপঙ্কর মণ্ডল: প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ অব্যাহত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চলছে পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ৷ গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত ঘেরাও হয়ে রয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ যদিও, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈঠক ডেকেছে অধ্যাপকদের সংগঠন ‘জুটা’৷ তবে, ‘জুটা’র তরফে বৈঠক ডাকা হলেও প্রবেশিকা পরীক্ষা না ফেরানো পর্যন্ত পড়ুয়ারা তাঁদের আন্দোলন চালাবে বলে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
[বাংলার কচুর লতিতে মজেছে ইউরোপ, চাহিদা মিটিয়ে চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা]
লাগাতার ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে প্রবেশিকার দিন ঘোষণার পরও পিছিয়ে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। স্থির হয়, চলতি বছরে ওই প্রতিষ্ঠানে স্নাতকে ভর্তির জন্য কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। পড়ুয়া ভরতি হবে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই৷ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল রাত থেকে নতুন করে ঘেরাও কর্মসূচিতে নামেন পড়ুয়াদের একাংশ৷
বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ামক কর্মসমিতির এই ঘোষণার পরই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রবেশিকার দাবিতে ফের শুরু হয়ে গিয়েছে পড়ুয়াদের আন্দোলন। মূল প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলছে অবস্থান। রাত পর্যন্ত উপাচার্য সুরঞ্জন দাস-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পদস্থ আধিকারিক ভবনের ভিতরে আটকে রয়েছেন৷
[ব্রিটিশদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শারদোৎসবের বিপণন চায় বাংলা]
প্রবেশিকা বহাল রাখার দাবিতে কয়েকদিন আগেও পড়ুয়াদের একটি অংশ বিক্ষোভ প্রতিবাদে নেমেছিল। উপাচার্য প্রায় ৪০ ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে ছিলেন। শেষমেশ প্রবেশিকা ও বিষয়ভিত্তিক নম্বরের মাধ্যমে ভরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে তাঁরা মুক্তি পান৷ এই ঘটনার রেশ না কাটতেই এদিন ফের এক পা এগিয়ে দু’পা পিছিয়ে আসা। যাদবপুর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন সুকান্ত চৌধুরি-সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ। মঙ্গলবার শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেনরা যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। শিক্ষাবিদদের আশঙ্কা, ‘সরকারের চাপের কাছে নতিস্বীকার’ করল কর্তৃপক্ষ। ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যর বক্তব্য, “ভরতি নিয়ে পড়ুয়াদের মতামত থাকতে পারে না। যাদবপুরের কর্মসমিতির উপর বারবার আঘাত আসছে। প্রবেশিকা বিতর্কে অনেকে ফর্ম জমা দেননি। চলতি বছরে তাই এবার প্রবেশিকা হবে না।” চলতি বছরে কলা বিভাগে প্রবেশিকার দিন ঘোষণার পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনের জেরে ফের দিন ঘোষণা হয়। কিন্তু এদিন কার্যত বেনজির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের পরে ছাত্র আন্দোলন যে আরও তীব্র হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই শিক্ষা মহলের। বুধবার বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অরবিন্দ ভবনের সামনে টাকা নিয়ে আসন বিক্রির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ৷
The post যাদবপুরে আজও অব্যাহত ছাত্র বিক্ষোভ, এখনও ঘেরাও উপাচার্য appeared first on Sangbad Pratidin.