রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বোমা বিস্ফোরণে (Blast)উড়ে গেল ছাত্রের এক হাত। ব্যাগের মধ্যেই রাখা ছিল বোমা। পড়ে থাকা ব্যাগটি নিতে গিয়ে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আশপাশের মানুষজন দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন এক যুবক। নাম নীলেশ মণ্ডল, সে নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শনিবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) করিমপুর থানার করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের ঘটনা। ওই ছাত্রর প্রাথমিক চিকিৎসার পর করিমপুর হাসপাতাল থেকে কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক। বিকেলে জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
Advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুর (Karimpur) থানার কিশোরপুর হালদার পাড়ার বাসিন্দার দুই বন্ধু নীলেশ মণ্ডল ও সায়ন মণ্ডল বিকেলে বেড়াতে বেরিয়েছিল। এরা দুজনেই নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঘোরার সময় করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেটের পরিত্যক্ত জায়গায় একটি ভাল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে দুই বন্ধু। ব্যাগটি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে সেটি তুলে নিয়ে নীলেশ চেন খুলতে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘটে বিস্ফোরণ।
[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]
নীলেশের ডান হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরপরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে করিমপুর হাসপাতালে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসে করিমপুর থানার পুলিশ, তদন্তের-সার্থে বন্ধু সায়ন মণ্ডলকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে করিমপুর থানার পুলিশ। এখন বিস্ফোরণস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে বিস্ফোরকের ধরন জানতে চাইছে পুলিশ।
আহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টা নাগাদ খাওয়াদাওয়া করে নীলেশ এবং সায়ন দু’জনে করিমপুর গিয়েছিল। তেহট্টের এসডিপিও (SDPO) শুভতোষ সরকার বলেন, ”পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। আহত যুবকের বয়ান শুনে মনে হচ্ছে, বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বোমা কী উদ্দেশ্যে কারা মজুত করেছিল, কোথা থেকে এসেছিল, সেসব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”