ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনার মধ্য়েই এবার আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) প্রাণ হারালেন এক ইন্টার্ন। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে প্রাথমিক অনুমান। এই মৃত্যু ঘিরেও ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের নাম শুভজ্যোতি দাস। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, লেখাপড়ায় ভালই ছিলেন শুভজ্যোতি। তা সত্ত্বেও এমবিবিএস পরীক্ষার একাধিক বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। তারপর থেকেই নাকি অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। যার জন্য ওষুধও খেতেন। নিমতায় কাকার বাড়িতেই থাকতেন। মা-বাবা একসঙ্গে না থাকার অবসাদও নাকি গ্রাস করছিল তাঁকে। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার কাকার বাড়িতে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে একাই ভিতরে ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দরজা ধাক্কানোর পরও দরজা না খোলায় তা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা। তখনই দেখেন লুটিয়ে পড়ে তাঁর দেহ।
[আরও পড়ুন: গোবলয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে মোদির ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প, কমছে কন্যার জন্মহার]
আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুক্রবার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গতকালই শুভজ্যোতির দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত ছাত্রের পেটে এসিটালোপরাম ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। এরই অতিরিক্ত ডোজে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি বলে অনুমান।
তবে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। লেখাপড়ায় ভাল হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে একাধিক বিষয়ে ফেল করলেন তিনি? তিনি এই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন কি না কিংবা ওষুধের ওভারডোজের নেপথ্য অন্য় কোনও কারণ আছে কি না, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।