গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: এবার বৃষ্টি নামলে তড়িঘড়ি ছাদে রোদে শুকোতে দেওয়া জামাকাপড় আর তুলতে যেতে হবে না। বৃষ্টির ফোঁটা ছাদে পড়লেই সেন্সরের মাধ্যমে জামা-কাপড়গুলি ঘরের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যাবে। বৃষ্টি থামলেই জামাকাপড়গুলি খোলা আকাশের নিচে পৌঁছে যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স কাজে লাগিয়ে এমনই এক অদ্ভুত সৃষ্টি করল বসিরহাটের দুই ছাত্র।
জানা গিয়েছে, শুধু জামাকাপড় নয়, একইভাবে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে আলো। রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফোটার আগে বন্ধও হয়ে যাবে। এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ঘর মডেল আবিষ্কার করল বসিরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলের দুই ছাত্র। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২নং ব্লকের বেলের ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের দুই ছাত্র নিজামুদ্দিন গাজি ও মহম্মদ সামিম মণ্ডল। ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্র এই স্মার্ট ঘর তৈরি করায় রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। মূলত ঘরের উপর সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে বৃষ্টি এলেই নিজে থেকেই সেন্সর থেকে বার্তা গ্রহণ করে সতর্কতামূলক শব্দ বেজে উঠবে।
[আরও পড়ুন: ফের জামুরিয়ায় শুটআউট, টোটো পার্কিং নিয়ে বিবাদে চলল গুলি]
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিজামুদ্দিন গাজি বলে, “অনেক সময় ছাদে জামাকাপড় শুকাতে দেওয়ার পর হঠাৎ বৃষ্টি নামলে জামাকাপড় তুলতে অনেকেই ভুলে যান। ফলে ভিজে যায় শুকোতে দেওয়া জামা কাপড়গুলি। সেই সমস্যা সহজে দূর করতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে সেন্সরের মাধ্যমে স্মার্ট ঘর তৈরি করলাম।” স্কুলের ল্যাবে পড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে এই স্মার্ট ঘর তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় ছাত্ররা। স্কুলের দুই ছাত্রের অভিনব স্মার্ট ঘর তৈরিতে রীতিমতো সাড়া পড়ল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে।