সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ৬৯ বছর পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু এখনও কতটা সুরক্ষিত স্বাধীন ভারতের শিশুরা? স্কুলে যাওয়ার পথে যে কোনও সময় বাঘ আক্রমণ করতে পারে, প্রাণের ভয়ে তাই স্কুলে যেতেই নারাজ নীলগিরির মুদুমালাই জেলার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা৷ ৪৫ জন শিশু রীতিমতো ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে, কারণ তাঁদের স্কুল যাওয়ার পথে শুধু বাঘই নয়, দেখা মেলে চিতাবাঘ, ভল্লুক, নেকড়ে বাঘ, এমনকী হায়নারও৷
প্রকৃতির পাঠশালা ঘেরা জীবন হলেও সেই জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় নিজেদের ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না অভিভাবকরাও৷ তাই তামিলনাড়ু সরকারের তরফে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন জিপগাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হল৷ রাজ্যের স্কুল দফতরের শিক্ষামন্ত্রী বি বেঞ্জামিন বলেন, ছাত্রীদের জন্য আত্মরক্ষার বিশেষ পাঠও চালু হচ্ছে৷ যাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, সেই ব্যবস্থাই করছেন তাঁরা৷ পঞ্চায়েত ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০টি পরিবার বাস করে৷ পুলিয়ালাম, মুন্ডাকড়াই, মেলনাগাম পাল্লি, কাপ্পুর এই জায়গাগুলিতে বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন৷ এদের মধ্যে অন্যতম কাট্টুনাইকের৷ শুধুমাত্র বাঘের ভয়ে স্কুলে যেতে চাইছিল না খুদে পড়ুয়ারা, তাই তাদের কথা ভেবেই একটা সুরক্ষিত জিপগাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷
রাজ্য সরকারের মতে, পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মুদুমালাই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ দক্ষিণ ভারতের অন্যতম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। তাই পশুদেরও যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, ভেবে দেখা হয়েছে সেই দিকটাও৷ ছাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের সম্পূর্ণ বেড়ে ওঠার দিকটিও ভেবে দেখছে স্কুল শিক্ষা পর্যদ৷ বিপদকে চেনা, তার মোকাবিলা করা, আত্মরক্ষা, আত্মবিশ্বাস তৈরি করা, সংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, শারীরিক সক্ষমতা তৈরির যাবতীয় পাঠ ক্যারাটে ও অন্যান্য মার্শাল আর্টের মাধ্যমে শেখানো শুরু হচ্ছে৷ প্রতিটি জেলায় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির হাজার জন ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ মোট ৩০ হাজার ছাত্রীকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
The post বাঘের আতঙ্কে স্কুলে যেতে নারাজ পড়ুয়ারা appeared first on Sangbad Pratidin.