ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) কাণ্ডের জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শুক্রবার দুপুর তিনটের মধ্যেই হাই কোর্টের নির্দেশেই সরানো হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাটল না জটিলতা। এদিন রাতেই ফের হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটার ছেড়ে ফের অবস্থানে বসলেন পড়ুয়ারা।
শুক্রবার সন্ধেয় ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপাচার্যের বাসভবন চত্বর। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ৫০ মিটার ছেড়ে তারপর জমায়েত করে পড়ুয়াদের একাংশ। তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। সেখানে নেই মাইক। এরপরই অবস্থানে বসে পড়ুয়ারা। তাতে সামিল হয়েছেন বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও আশ্রমিকও। ঘটনার জেরে নতুন করে তৈরি হল জটিলতা। তবে এবিষয়ে এখনও বিশ্বভারতীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো’ নথি দেখালেই মিলত ওষুধের দোকানের লাইসেন্স! গোপন অপারেশনে পুলিশের জালে ৪ প্রতারক]
লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ, উপাচার্য ঘেরাওকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বিশ্বভারতী। এই অবস্থায় রাজ্য যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্বভারতী। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩৮ পাতার রিট পিটিশন দাখিল করে উচ্চ আদালতে। শুক্রবার তার শুনানিতেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে গাইডলাইন বেঁধে দিলেন বিচারপতি। শান্তিনিকেতন থানা ও বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে তাঁর নির্দেশ, উপাচার্যের বাড়ির সামনে এ ধরনের ছাত্র বিক্ষোভ চলবে না। তাঁরও শান্তিপূর্ণভাবে থাকার অধিকার আছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে। ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যেও কোনও বিক্ষোভ চলবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থা চলতে পারে, তবে চলবে না মাইক বাজিয়ে স্লোগান দেওয়া। সেই সকল নির্দেশ মেনেই ফের আন্দোলনে পড়ুয়ারা।