প্রণব সরকার, আগরতলা: কর্ণাটকের হিজাব (Hijab Controversy) বিতর্কের ছায়া এবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। সেরাজ্যের বিশালগড়ের একটি বিদ্যালয়ে হিজাব পরায় সংখ্যালঘু ছাত্রীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোয় অন্য পড়ুয়াদের মারধরেরও অভিযোগ উঠছে।
ত্রিপুরায় বিশালগড়ের কড়ইমুড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুরনো স্কুল কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী হিজাব পরেই স্কুলে যায়। কিন্তু দিন কয়েক আগে এই স্কুলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) রীতিমতো লিখিতভাবে ছাত্রীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানায়।
[আরও পড়ুন: টাকা ও পদের লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে কেনার চেষ্টা! হাতেনাতে পাকড়াও তৃণমূল কর্মী]
VHP-র সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি না করলেও অঘোষিতভাবে পড়ুয়াদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। ছাত্রীদের মৌখিকভাবে হিজাব না পরে আসতে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে হঠাৎ করেই শুক্রবারহিজাব পরে আসা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় কিছু বহিরাগত যুবক। অভিযোগ, তাঁরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী। ওই বহিরাগতরা হিজাব পরা ছাত্রীদের বাধা দিলে স্কুলেরই কয়েকজন ছাত্র তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করে। তাঁদের মধ্যে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করারও অভিযোগ রয়েছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। যার জেরে স্কুল চত্ত্বর রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ, ফের বিতর্কে রাজ্যপাল]
স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকরা স্কুলের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যালয়ে হিজাবে সরকারিভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। শিক্ষা দপ্তরও এ বিষয়ে স্কুলগুলিকে কোনও নির্দেশ প্রদান করেনি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের বাধা দেওয়া হল। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি।