সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারচুয়াল বিপ্লবের এ যুগে আগে দেখানদারি তারপর হয় গুণের বিচার। হাতের কাছে যতোই মাছ-মাংস, মন্ডা-মিঠাই থাক না কেন তার উপরে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোগ্রাসে খাওয়া যাবে না। আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিতে হবে তো! তা না হয় দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকার ইঁদুর দৌড়েও এগিয়ে গেলেন। তবে এই কম্ম করতে গিয়ে আপনার ওজন কিন্তু বেড়ে যেতে পারে, সেই খবর রাখেন? মার্কিন মুলুকের বিশেষজ্ঞরা এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন।
একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে এই তথ্য দিয়েছেন আমেরিকার জর্জিয়া সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Georgia Southern Univerity) বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, হালফিলের মোবাইয়ে প্রায় প্রত্যেকটির ক্যামেরা ফিচারে নানা ফিল্টার থাকে। আবার ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক সামাজিক মাধ্যমে ছবি আপলোড করতে গেলেও ফিল্টারের অপশন দেওয়া হয়। ফলে খাবারের ছবি সুন্দর ওঠে। তাতে চোখের খিদে বেড়ে যায়। আবার মনের ক্রেভিংও বেড়ে যায়। প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন মানুষ।
[আরও পড়ুন: শ্রীনগরের রেস্তরাঁয় ভাস্বরের পাতে স্পেশ্যাল আমিষ খাবার, পরিবেশনের কায়দা দেখলে চমকে যাবেন!]
আবার ছবি তুলতে গিয়ে খাবারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। মানুষ বেশি সময় ধরে একই খাবার খায়। ধরুন, আপনি পছন্দের খাবার রয়েছে। বেশ খিদেও পেয়েছে। কিন্তু ছবিটা তো আগে তুলতে হবে। ছবি তুলে তাতে ফিল্টার দিয়ে এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে গেলে বেশ কিছুটা সময় খরচ হয়। এই সময়ে সেকেন্ড ক্রেভিং শুরু হয়ে যায়। ফলে খাবার পরিমাণও বেড়ে যায়। তার প্রভাব শরীরে পড়ে। বাড়তে থাকে ওজন।
নিজেদের যুক্তির স্বপক্ষে জর্জিয়া সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শো জনের উপর একটি পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞরা। পড়ুয়াদের প্রথমে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়। এক দল পড়ুয়াকে নির্বিঘ্নে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, বাকিদের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করতে বলা হয়। দেখা যায়, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করেছেন তাঁদের খাওয়ার পরিমাণ তুলনায় বেশি ছিল।