সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে (PNB Scam) বড়সড় সাফল্য সিবিআইয়ের। মিশর থেকে দেশে ফেরানো হল ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদির ঘনিষ্ঠ সুভাষ পরবকে (Subhash Parab)। সিবিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই কায়রো থেকে মুম্বইয়ে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম এই অভিযুক্তকে।
২০১৮ সালে ভারত থেকে মিশর পালিয়েছিল সুভাষ। তখন থেকেই সে মিশরে ছিল। এই সুভাষ পিএনবি কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত নীরব মোদির (Nirav Modi) অলঙ্কার সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার ছিল। তার হাত ধরেই কোটি কোটি টাকার লেনদেন করতেন নীরব মোদি। সিবিআইয়ের দাবি, পিএনবি কেলেঙ্কারির কোটি কোটি টাকা তছরুপের মূল সাক্ষীই এই সুভাষ। তার প্রত্যর্পণ আগামী দিনে নীরবকে দেশে ফেরানোর পথে বড়সড় পদক্ষেপ হতে পারে। পিএনবি-সহ ভারতের একাধিক ব্যাংকে জালিয়াতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন নীরব মোদি। তার পরপরই দেশ ছাড়ে সুভাষ।
[আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত কমপক্ষে ৬, আহত বেশ কয়েকজন]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে। তারপর থেকেই ব্রিটেনের মুখ্য সচিবের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল ভারত। পরবর্তীতে সেই অনুমতিও মেলে। গত ১৫ এপ্রিল ব্রিটেনের মুখ্যসচিব প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের চুক্তিতে সই করেন। তারপরই কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত এই অলঙ্কার ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আশা দেখছিল ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘বুচা গণহত্যার নিন্দা করেছি’, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মোদি]
কিন্তু শেষ পর্যন্ত খানিকটা আরেক ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya) দেখানো পথে হেঁটে ভারতের জেলের মান এবং বিচারব্যবস্থার উপর অনাস্থা দেখিয়ে ব্রিটেনের হাই কোর্টে পালটা আবেদন জানিয়েছিলেন নীরব। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। নীরবের সেই কৌশলী আবেদন নিয়ে এখনও বিচার চলছে। যার ফলে এখনও তাঁকে দেশে ফেরানো যায়নি। ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও অপেক্ষায় আছে। রাকেশকে ফেরানোর পর এবার সিবিআইয়ের টার্গেট হতে চলেছেন নীরব।