সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভার প্রথম বক্তা হিসাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। নবজোয়ার যাত্রায় যে জনসমুদ্র, দিনরাত ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় থাকার যে কষ্ট, সারা বাংলা চষে ফেলে যে অভিজ্ঞতা, তার উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ঢালাও প্রশংসা করলেন তিনি।
ছোট থেকে দেখা অভিষেক আজ বড় হয়ে গোটা বাংলাকে হাতের তালুর মতো চিনে ফেলেছে, আর বাংলার মানুষও তাঁকে গ্রহণ করেছে, এর উল্লেখ করে বক্সির ‘উপহার’, “আমি এক সময়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি একসঙ্গে ছিলাম। আজ সময় এসেছে, আমার প্রস্তাব, অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতিও করা হোক।” সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত ধরে নেন বাঁদিকে বসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হেসে বলেন, ‘‘কোনও প্রশ্নই ওঠে না, তুমিই থাকবে সভাপতি।’’
[আরও পড়ুন: নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে, পুলিশের অস্ত্রাগার ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের!]
সুব্রত বলেন, ‘‘নেত্রী বিবেচনা করুন, ও সভাপতি হোক, আমি চেয়ারম্যান হয়ে সবরকম সাহায্য করব। তাছাড়া আমি নিয়মিত রাজ্যসভাতেও যেতে পারি না।’’ অভিষেক আবার বলে ওঠেন, “এসব কথা আসছে কেন? তুমি যা আছো, তাই থাকবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার ঘুরে বলেন, ‘‘বক্সীদা, এসব কথা আর শুনছি না। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্ব হয়ে গিয়েছে। আপনি পরবর্তী অ্যাকশনের কথা বলুন।’’ এখানেই প্রসঙ্গটির ইতি হয়।
[আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাচ্ছেন সাভারকর! পাটনার বৈঠকের আগে কংগ্রেসকে নিশানা উদ্ধবের]
বস্তুত, এদিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সুব্রত বক্সী (Subrata Baksi)। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার-পাঁচটি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। উনি দীর্ঘায়ু হোন। কিন্তু আমরা না থাকলেও দল যোগ্য হাতে থাকবে। অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ওকে আমি অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানাই।’’ মমতাও এদিন অভিষেকের প্রশংসা করেন, সঙ্গে বলেন, ‘‘গোটা দল একটা পরিবারের মতো এই নবজোয়ার যাত্রা সফল করেছে। দলের গোটা টিমকে অভিনন্দন।’’