সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতেই অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। প্রবল ঝাঁকুনিতে গাড়ি থেকে পড়ে যান। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পরে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের বেড নম্বর ১২৯-এ রাখা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ইতিমধ্যেই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পেটে, বুকে, মাথায়, ঘাড়ে ও স্পইনাল কর্ডে। পাশাপাশি সেলাইন শুরু করা হয়েছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে , এবং পেইন কিলার দেওয়া হয়েছে। এখনও পুরোপুরি জ্ঞান আসেনি সুকান্ত মজুমদারের। তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন তিনি । ড. এস এন সিংয়ের তত্ত্বাবধানে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির প্রতিনিধি দলের। তবে মঙ্গলবার গভীর রাতেই সন্দেশখালির ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বুধবার সকালে টাকির হোটেলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানান পুলিশ আধিকারিকরা। কর্মসূচি বাতিলের আর্জি জানান। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি বিজেপি নেতা। এর পরই হোটেলের গেটে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রথমে প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপির নেতারা। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এসবের মাঝে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বের হন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো।
[আরও পড়ুন: আচমকা কলকাতায় আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কারণ ঘিরে জল্পনা]
তবে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। গাড়িও এগোতে পিছতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রবল ঝাঁকুনিতে মাটিতে পড়ে যান সুকান্ত। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশই ফেলে দেয় তাঁকে। তাতেই সংজ্ঞা হারান বিজেপি নেতা। পুলিশের গাড়িতে করে তাঁকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন বিজেপি নেতা।