রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: লক্ষ্মীপুজোর সন্ধেয় শান্তিকুঞ্জ অর্থাৎ কাঁথির অধিকারী বাড়িতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই সাক্ষাতের নেপথ্যে কি রাজনীতি? সব মহল থেকে সেই প্রশ্ন তোলা হলেও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ।
বিজেপি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর সন্ধেয় কাঁথির শান্তিকুঞ্জে যাবেন সুকান্ত মজুমদার। সেই মতোই এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শান্তিকুঞ্জে পৌঁছন তিনি। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বাড়ির বাইরে ফুলের স্তবক হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদার গাড়ি থেকে নামতেই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর হাতে তুলে দেন ফুলের স্তবক। কোলাকুলিও করেন। এরপর একসঙ্গে প্রবেশ করেন ভিতরে। শোনা যাচ্ছে, শিশির অধিকারী ও তাঁর স্ত্রীর জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পেতেছে স্ত্রী! রাগে যুবককে এলোপাথারি কোপ স্বামীর, উত্তেজনা গাইঘাটায়]
সুকান্ত মজুমদারের আচমকা শান্তিকুঞ্জ সফর নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই এর নেপথ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ দেখতে পাচ্ছেন। যদিও সুকান্ত বা শুভেন্দু কেউই এর পিছনে রাজনীতি খুঁজে পাননি। তাঁদের দাবি, এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাত। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সুকান্তবাবু এসেছেন আমার পিতৃদেব ও মাতৃদেবীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতে। এর পিছনে কেউ অন্য কোনও কারণ দেখতে যাবেন না।”
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানারকম কথা শোনা যায়। খাতায় কলমে তিনি বিজেপিতে নাম না লেখালেও, বিজেপির অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিকে হিসেব বলে তিনি তৃণমূল সাংসদ। তবে এর আগে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও গিয়েছিলেন শান্তুকুঞ্জে। মধ্যহ্নভোজ সেরেছিলেন। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে।