সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুম করে একেবারে লুক বদলে ফেললেন সুনীল শেট্টি। কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া চুল কেটে একেবারে ছোট ছোট। এত সাধের চুল হঠাৎ কেন কাটলেন সুনীল? বলিউডে জোর গুঞ্জন, অভিনেতার এই লুকের নেপথ্যে রয়েছেন নীরব মোদি!
বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। কয়েকদিন আগেই খবরে এসেছিল দক্ষিণী পরিচালক কে কার্তিক বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, নীরব মোদিকে নিয়ে একটি ছবি তৈরি করতে চলেছেন। ছবির নাম ফাইল ‘নম্বর ৩২৩’। আগেই শোনা গিয়েছিল এই ছবিতে বিজয় মালিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে অনুরাগ কাশ্যপকে। আর এবার খবর, ‘ফাইল নম্বর ৩২৩’ ছবিতে নীরব মোদির চরিত্রে দেখা যাবে সুনীল শেট্টিকে (Sunil shetty )। তবে এখনও এ খবর উড়ছে বলিউডের গুঞ্জনেই। এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে নারাজ পরিচালক কার্তিক। আবার শোনা যাচ্ছে, সুনীলকে হয়তো দেখা যেতে পারে মেহুল চোকসির চরিত্রে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কিছুই ফাইনাল হয়নি। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুম্বই ছাড়াও লন্ডনে হবে এই ছবির শুটিং।
[আরও পড়ুন: চারের দশকের স্মৃতি ফেরাল ‘কালা’র ট্রেলার, স্বস্তিকা-তৃপ্তির পাশে উজ্জ্বল ইরফানপুত্র বাবিল]
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মালিয়াকে (Vijay Malliya) জেলের সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ঋণখেলাপি লিকার ব্যারনকে ৪ মাস জেল এবং দু’হাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনানো হয়েছে। জরিমানার ২ হাজার টাকা জমা দিতে হবে তাঁকে। অন্যথায় আরও দু’মাস সময় কাটাতে হবে জেলে। আদালত অবমাননার অভিযোগে মালিয়াকে এমনই সাজা শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ঋণখেলাপি মালিয়াকে শীর্ষ আদালত ৬,২০০ কোটির টাকারও বেশি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। বার বার নির্দেশ অমান্য করেও কোনও অনুশোচনা নেই ব্যবসায়ীর। তাই এই সাজা ঘোষণা করা হল। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মালিয়া যে ৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে ট্রান্সফার করে দিয়েছেন, সেটাও বেআইনি। সেই টাকা মালিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, মালিয়ার পরিবারের সদস্যরা যদি এই টাকা না ফেরায়, তাহলে মামলাকারীরা তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভারতের সব এজেন্সি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজে মামলাকারীদের সাহায্য করবেন। ইতিমধ্যেই মালিয়ার বহু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে আগেই জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ (SBI) একাধিক ভারতীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ব্রিটেনে গা ঢাকা দিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। সুতরাং শীর্ষ আদালতের এই নতুন রায়ও তার উপর কীভাবে কার্যকর হবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।