ইস্টবেঙ্গল: ২ (মহেশ, পাসি)
আইজল এফসি: ২ (রুইতিয়া, ডেভিড)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার রক্ষণের সেই একই ভুল। আর সেই ভুলেরই খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। চলতি সুপার কাপে জয়ের মুখ না দেখেই ছিটকে গেল স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। তিনটি ম্য়াচের তিনটিতেই ড্র করে কোঝিকোড় থেকে একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরছেন সুমিত পাসিরা।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। তবে নিজেদের প্রথম দু’টি ম্যাচে ড্র করে শেষ চারে পৌঁছনোর আশা জিইয়ে রেখেছিলেন ক্লেটনরা। যদিও সেমিফাইনালে পৌঁছনোর হিসেবটা ছিল বেশ কঠিন। লাল-হলুদ ব্রিগেডকে (East Bengal) ৪-০ গোলে হারাতে হত পাহাড়ি ক্লাবটিকে। সেই লক্ষ্যে শুরুটা মন্দ করেননি ক্লেটনরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মহেশ। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ব্যবধান বাড়িয়ে দলকে চাঙ্গা করেন সুমিত পাসি। কিন্তু এরপরই ঘুরে যায় যাবতীয় সমীকরণ।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে ছেলের অভিষেক নিয়ে মুখ খুললেন শচীন, অর্জুনকে বিশেষ বার্তা শাহরুখেরও]
প্রথমার্ধেই লাল-হলুদ রক্ষণের বোঝাপড়ার অভাবে একটি গোল শোধ করে দেন আইজলের রুইতিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানো তো দূর অস্ত, আরও একটি গোল হজম করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ডেভিডের গোলে খেলা সমতায় ফেরে। ৭৫ মিনিটে আইজলের একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল না হলে এদিন শূন্য হাতেই মাঠ ছাড়তে হত ইস্টবেঙ্গলকে।
হিসেব বলছে এটাই লাল-হলুদ কোচ হিসেবে কনস্টান্টাইনের শেষ ম্যাচ। কিন্তু আইএসএলের মতোই সুপার কাপেও চূড়ান্ত ব্যর্থ দল। ক্লেটনের মতো তারকা থাকতেও দলগত পারফরম্যান্সে দুর্বলতার জন্যই বারবার ব্যর্থতাই জুটছে। এবার দেখার নতুন কোচ দায়িত্ব নিয়ে দলের এই চেহারা বদলাতে পারেন কি না।