সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার মধ্যস্থতাকারী বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই লক্ষ্যে ‘আদালত বন্ধু’ নিয়োগ করল সর্বোচ্চ আদালত। আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে ‘আদালত বন্ধু’ হিসাবে নিয়োগ করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী দিনে বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির মামলাগুলি ভাগ ভাগ করে শোনা হবে বলে খবর। এসএসসি-র গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম শ্রেণির মামলায় আলাদা আলাদা করে শুনানি করতে পারে সর্বোচ্চ আদালত।
এসএসসি-র গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মোট সাতটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। তবে পরে ডিভিশন বেঞ্চে মামলাগুলি স্থগিত হয়ে যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির অনুসন্ধান করে। গতবছর ১৩ মে হাই কোর্টে বাগ কমিটি রিপোর্ট পেশ করে।
[আরও পড়ুন: মালদহের স্কুলে ‘বন্দুকবাজ’: নেপথ্যে দিল্লির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী, সতর্ক থাকার পরামর্শ]
সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমারের বাগ কমিটির রিপোর্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখতে চায়। সেই কাজে সহায়তা করার জন্যই আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে ‘আদালত বন্ধু’ নিয়োগ করা হল। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় আইনজীবী গৌরব আগরওয়াল সাহায্য করবেন। সংক্ষিপ্ত আকার সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ন’মাসে যেটা হল না ন’দিনে কী করে হল? প্রেসিডেন্সির সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের]
এদিকে বুধবারও নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এদিন আদালতে বিষয়টি তোলেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ সত্বেও কাজে যোগ দিতে পারেননি চাকরিহারা শিক্ষকরা। স্কুলের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। মুকুল রোহতাগি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কীভাবে হতে পারে? শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কি জানান তাঁর হলফনামায়।” এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ফের বলেছেন, “বিচারাধীন মামলা নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকলে এই বিচারপতি মামলার শুনানির অধিকার হারিয়েছেন। “