সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টের ক্ষমতায় তারা হস্তক্ষেপ করবে না। আবার জাতীয় বিপর্যয়ের সময়েও চুপ করে থাকবে না। মঙ্গলবার করোনা মামলায় ফের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘এমন কিছু জাতীয় সমস্যা যখন তৈরি হয়, তখন সুপ্রিম কোর্টকেই সমাধান সূত্র খুঁজতে হয়। এই সময়ে একটা জাতীয় বিপর্যয় চলছে। সুপ্রিম কোর্ট চুপ করে বসে থাকতে পারে না।’ একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, করোনা রুখতে এখনও পর্যন্ত তারা কী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে? এদিন নতুন করে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র দাবি করেছে, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁদের নেতৃত্বেই করোনা মোকাবিলার কাজ চলছে।
গত সপ্তাহে করোনায় অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ সরবরাহ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বেশ কয়েকজন বর্ষীয়ান আইনজীবী। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, দেশের ছয় রাজ্যে করোনা মামলায় হাই কোর্ট যখন কেন্দ্রের উপর খড়গহস্ত, তখন মোদি সরকারের ঢাল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইছে সুপ্রিম কোর্টে। গত শুক্রবারের পর এদিনও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল এন রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র এস ভাটের বেঞ্চ বলে, ‘আমরা কোনওভাবেই হাই কোর্টের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছি না। আমাদের ভূমিকা এখানে একেবারে ভিন্ন। যদি হাই কোর্ট এই মামলার রায় ঘোষণা করতে কোথাও আটকে যায়, আমরা হাই কোর্টকে সাহায্য করব।’ করোনা মোকাবিলায় কী করছে কেন্দ্র ? করোনা রুখতে কেন্দ্রের জাতীয় পরিকল্পনা কী ? গত সপ্তাহে মোদি সরকারের থেকে এটাই জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, যেখানে দেশে ছয় হাই কোর্টে এই ব্যাপারে মামলা চলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে এই ব্যাপারে জানার কী আছে? এদিন এ ব্যাপারেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে রাশিয়াকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বে তৃতীয় ভারত, আগে শুধু চিন-আমেরিকা]
তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ‘আমরা কেন কেন্দ্র নোটিস দিয়েছি, তা সবাইকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের লক্ষ্য এই মামলায় হাই কোর্টের থেকে ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টে সরিয়ে আনা নয়। বরং তাদের কাজে আরও বেশি করে সাহায্য করা। আমরা মনে করি, হাই কোর্ট গুলি আমাদের থেকে এই মামলায় বেশি নজরদারি করতে পারছে।’নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার দিনেই অক্সিজেন নিয়ে বাইরে যা চলছে, সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের থেকে জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা। এমনকী, রেমডেসিভির এবং ভ্যাকসিন নিয়েও কেন্দ্রের কী অবস্থান, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।