সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মগজধোলাই মামলায় বিরাট স্বস্তি পেয়ে গেলেন সদগুরু। তাঁর সংস্থা ঈশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, মাদ্রাজ হাই কোর্ট ঈশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটা যথাযথ নয়।
তাঁর দুই মেয়ের ‘মগজধোলাই’ করেছেন সদগুরু। যার পর মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে সদগুরুর তৈরি সংস্থা ঈশা ফাউন্ডেশন আশ্রমে সন্ন্যাসের জীবন বেছে নিয়েছেন। এই অভিযোগে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা করেন তামিলনাড়ুর অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। যার পর সদগুরু এবং তাঁর ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সদগুরু।
সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়ে দিল, সদগুরুর বিরুদ্ধে মগজধোলাইয়ের কোনও প্রমাণ নেই। যে দুই মহিলার ‘মগজধোলাই’য়ের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা নিজেরাই জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় সদগুরুর আশ্রমে রয়েছেন। ওই দুই মহিলাই প্রাপ্তবয়স্ক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, ২৪ ও ২৭ বছর বয়সি ওই দুই মহিলা নিজেই হাই কোর্টে হাজিরা হয়েছিলেন। ফলে সদগুরুর সংস্থার বিরুদ্ধে 'হেবাস কর্পাসে'র যে মামলা দায়ের হয়েছে, সেটাও আর বৈধ নয়।
তবে মগজধোলাই মামলাটিতে স্বস্তি পেলেও শিশু নিগ্রহের মামলায় এখনও স্বস্তি পায়নি সদগুরুর সংস্থা। কিছুদিন আগে ঈশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধ শিশু নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়েছিল। যদিও ঈশা ফাইন্ডেশনের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, নিগ্রহের ঘটনা আশ্রমের ভিতরে ঘটেনি। সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি।