সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংস (Babri Masjid) এবং গোধরা (Godhra) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যা পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল, সবগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে অন্য মামলাগুলির কোনও অর্থ হয় না। অন্যদিকে গোধরা পরবর্তী সাম্প্রদায়িক অশান্তি ঘিরে যা মামলাগুলি হয়েছিল, তার অধিকাংশেরই তদন্ত সম্পূর্ণ করেছে বিশেষ দল। তাই এই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাগুলির বিচার করার দরকার নেই।
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, রাম জন্মভূমি বনাম বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে যা রায় দেওয়া হয়েছিল, তারপরে বেশ খানিকটা সময় কেটে গিয়েছে। তাই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাগুলি ভিত্তিহীন। গোধরা কাণ্ডের পরে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত ন’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে আটটি মামলার তদন্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই কারণেই এই দু’টি ঘটনা সংক্রান্ত মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্ল্যানিং কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অভিজিৎ সেন]
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই কথা ঘোষণা করার পরে আরও জানানো হয়েছে, “ইতিমধ্যেই মামলাগুলি সম্পর্কে রায় দিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চগুলি। নতুন করে বিচার করার জন্য আর কিছুই বাকি নেই। একই মামলা বারবার বিচার করার অর্থ মৃত ঘোড়াকে টেনে নিয়ে যাওয়া। আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন। সবমিলিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।”
তবে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার পরে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয় তিস্তার বিরুদ্ধে। গত জুন মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুদিন আগেই তিস্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে গুজরাট সরকারের কাছে জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, তিস্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। সামান্য কিছু সংশোধনের পরেই তা আদালতে পেশ করা হবে।