সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলের ভিতরে কোনওরকম জাতপাত মানা যাবে না। এতে সমাজে বিভেদ বাড়বে। ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ফলে জেলের কর্মবণ্টন এবং অন্যান্য ম্যানুয়ালে আমূল বদল আসতে চলেছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, জেলে যেভাবে জাতপাতের ভিত্তিতে কাজ বণ্টন করা হয়, সেটা সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী। সংবিধানের ওই ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, জন্মস্থান, এসবের ভিত্তিতে কোনওরকম বৈষম্য সমর্থনযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এখনও যেভাবে সমাজে জাতির নামে বৈষম্য হচ্ছে, সেটা দুঃখজনক।
এতদিনের ম্যানুয়াল অনুযায়ী, জেলে সাফাই, শৌচাগার পরিষ্কার, কাগজ কুড়নোর মতো কাজ রাখা হয় নিচুজাতের জন্য। অন্যদিকে রান্না, খাবার দেওয়ার মতো কাজ রাখা হয় উঁচুজাতের জন্য। শীর্ষ আদালত অবিলম্বে রাজ্য সরকারগুলিকে ম্যানুয়ালে সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এই ধরনের কোনও কাজ কাউকে দিয়ে করানো যাবে না যাতে জাতিগত বৈষম্য বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, জেলের রেজিস্টারে বা বিচারাধীন বন্দিদের নাম রেজিস্টারের সময় জাতপাতের উল্লেখ করারও প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঐতিহাসিক। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জাতিগত জনগণনার দাবিতে আন্দোলন করছে, সংরক্ষণ দেশের রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, সেখানে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে জেলে জাতপাতের বৈষম্য ওড়াতে তৎপর হল, সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।