সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে খয়রাতি (Freebie) সংক্রান্ত মামলায় সর্বদল বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবারই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রামানা। তাই নতুন বিচারপতিদের বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। নির্বাচনের আগে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আসলে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।
বুধবার এই মামলার শুনানির সময়ে রামানা (NV Ramana) বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি কমিটি গঠন করছে না কেন? সর্বদল বৈঠক ডেকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে না কেন?” সুপ্রিম কোর্টের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই আদালতের। প্রধান বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, “আজ যারা বিরোধী দল, আগামী দিনে তারাই সরকার গড়তে পারে। তাই খয়রাতির ঘোষণা করলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করা অবশ্য প্রয়োজন।”
[আরও পড়ুন: দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’! বিধায়ক ভাঙাতে ২০-২৫ কোটির প্রস্তাব দিচ্ছে বিজেপি, দাবি আপের]
কেন্দ্রের সলসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কমিটি গঠন করে তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে পারে। তারপরে মহামান্য আদালত সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে দেখবেন।” কিন্তু সর্বদল বৈঠক ডাকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন তিনি। সলিসিটর জেনারেল বলেছেন, “কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে, খয়রাতি করলেই তারা নির্বাচনে জিততে পারবে। তারা মনে করে, বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়াটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।”
প্রসঙ্গত, গুজরাটে নির্বাচনের আগেই একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা কোনও অপরাধ নয়, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ডিএমকে। সেই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, খয়রাতি এবং সামাজিক কল্যাণের মধ্যে তফাৎ বুঝতে হবে। তবে মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দিলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে বলেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।