সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানতে চাওয়া হয়েছে, জিতেন্দ্র আদালতে হাজিরা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন ওভাবে গ্রেপ্তার করা হল, সে বিষয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ২ জন – গৌরব গুপ্ত এবং তেজপ্রতাপ সিংয়ের গ্রেপ্তারিতেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। দু’সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি।
গত বছরের ডিসেম্বরে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী, আসানসোলের (Asansol) কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। তার অন্যতম আয়োজক ছিলেন জিতেন্দ্রও। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই কম্বল নেওয়ার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৩ জন। ঘটনার তদন্তে নেমে চৈতালি এবং জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করে আসানসোল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মাদক পাচারের পর্দাফাঁস, মুর্শিদাবাদে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ভিনরাজ্যের যুবক-সহ ৪]
গ্রেপ্তারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির আগেই নয়ডা (Noida) থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আসানসোল পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তর। তাঁকে আদালতে পেশ করে ৮ দিনের হেফাজতেও নেয় পুলিশ। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, কেন অভিযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ওভাবে গ্রেপ্তার করল আসানসোল পুলিশ? কম্বল কাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা এবং তেজপ্রতাপ সিংকে গ্রেপ্তারিতেও স্থগিতাদেশ জারি করা হবে। আগামী ২ সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ। তারপর নির্দিষ্ট দিনে শুনানিতে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে।