সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে মেডিক্যালে ভর্তিতে অনাবাসীদের জন্য চালু নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সাফ বলে দিল, এটা টাকা তোলার মেশিন ছাড়া আর কিছু নয়। দ্রুত এই প্রতারণা বন্ধ হওয়া উচিত।
আসলে পাঞ্জাবে অনাবাসী ভারতীয়, অর্থাৎ এনআরআইদের জন্য মেডিক্যালে ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। গত ২০ আগস্ট পাঞ্জাবের আপ সরকার একটি বিবৃতি জারি করে অনাবাসী ভারতীয়দের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলে হয়, শুধু যারা বিদেশে থাকেন তাঁরাই নন, এবার থেকে এনআরআইদের আত্মীয়রাও এই সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। ফলে অনাবাসী ভারতীয়দের কাকা-কাকিমা, মামা, তুতো ভাইয়েরা সকলেই এই সংরক্ষণের আওতায় চলে আসেন।
যার প্রতিবাদে মামলা হয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। হাই কোর্ট সেপ্টেম্বর মাসে পাঞ্জাব সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। পালটা সুপ্রিম কোর্টে যায় পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেও ধোপে টিকলা পাঞ্জাব সরকারের যুক্তি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, "এই নির্দেশ পুরো প্রতারণা। এভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অবনমন ঘটানো হচ্ছে। এখনই অনাবাসী সংরক্ষণের নামে এই ব্যবসা বন্ধ করা দরকার। এটা পুরো জালিয়াতি"।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়কে একেবারে সঠিক বলে আখ্যায়িত করে শীর্ষ আদালত বলছে, এনআরআই সংরক্ষণের নামে যে নীতি পাঞ্জাব সরকার এনেছে সেটা পুরোপুরি প্রতারণা। এর ফলে যারা মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পাবেন, তাঁদের ৩ গুণ যোগ্যরাও বঞ্চিত থেকে যাবেন। এটা আসলে 'টাকা তোলার যন্ত্র।'