সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাফিল খানকে (Kafeel Khan) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল যোগী সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ধারায় মামলা করা যাবে না। এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন খোদ কাফিল খান-ই।
বৃহস্পতিবার টুইটারে তিনি লেখেন, “জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (NSA) অধীনে আমাকে আটকে রাখা বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল হাই কোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু তাঁদের সেই পিটিশান খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে বিচার পেলাম।” দেশের আইনের উপর তাঁর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে বলে জানান কাফিল।
[আরও পড়ুন : মাস্ক পরতে আপত্তি খোদ প্রধানমন্ত্রীর! ভিডিও শেয়ার করে কটাক্ষ আম আদমি পার্টির]
বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের পর্যবেক্ষণ, নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী ফৌজদারি মামলার বিচার হয়। কোনও অভিযুক্তকে অন্য মামলায় আটক করে তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ আইন প্রয়োগ করা যায় না। এরপরই বিচারপতি বলেন, “এই মামলায় হাই কোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। সেই রায় বহাল থাকুক। এ বিষয়ে নাক গলানোর কোনও কারণ দেখছি না।”
গত বছর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ-র বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন কাফিল খান। সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়। ২৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। যদিও প্রথমেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ছিল, তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে চেয়েছেন। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়ে গেলে পরে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন : সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কৈকেয়ীর তুলনা! বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]
কাফিল খানের গ্রেপ্তারিকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে আদালত সাফ জানিয়েছিল, কাফিল খানের বক্তৃতায় এমন কিছু ছিল না যার ভিত্তিতে বলা যায় তিনি হিংসায় মদত দিচ্ছেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার।