সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর, পাঞ্জাব, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ ও লাদাখ, এই আট রাজ্যে কি হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দেওয়া যায়? এই মর্মে কেন্দ্রকে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যার ফলে যে সব রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu Population) অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যার থেকে কম, সেসব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও খানিকটা গতি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে সংবিধানেই। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে স্বস্তির খবর, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল SBI]
সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে তাঁরা। যার অর্থ, কোনও রাজ্য চাইলে হিন্দুদের আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা পরামর্শ করতে চায় কিনা? যদি সেটা চায়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে তিন মাস সময় দিয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এই সব ইস্যুতে আলোচনা প্রয়োজন। সব কিছুর বিচার করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: একা চৌকাঠ পেরনোর অনুমতি নেই ৪৪ শতাংশ ভারতীয় মহিলার! কেন্দ্রের সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর দাবি]
যদিও কেন্দ্র বর্তমানে আগেভাগে এই ইস্যুতে যে অবস্থান নিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, কেন্দ্রের উচিত ছিল আরও আলোচনা করে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা। তবে, শেষপর্যন্ত যদি রাজ্যগুলিও আলাদা আলাদা করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে দেশের অন্তত আটটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু তকমা পাবে।