সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামী, রূপান্তরকামী এবং যৌনকর্মীদের রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলাতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তার কারণ জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
জানা গিয়েছে, এই বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সেসময় রক্তদান নিয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়, রূপান্তরকামী, সমকামী পুরুষ এবং মহিলা যৌনকর্মীরা রক্তদান করতে পারবেন না। রক্তদানে উপযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁদের। কারণ হিসাবে বলা হয়, এই তিন ধরনের মানুষের রক্ত থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যৌনরোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও থেকে যায়। এই বিজ্ঞপ্তির পরই বিতর্ক শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: শাহর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ কংগ্রেসের, ওয়ানড় নিয়ে দাবি করে অস্বস্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
সরকারি নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন সমাজকর্মীরা। ২০২১ সালেও এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। এর পর সেই মামলাই আজ, শুক্রবার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ওঠে। মামলাকারী আইনজীবী ইবাদ মুসতাখ এদিন আদালতে দাবি করেন, সমকামী পুরুষ এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে এই ধরনের ভাবনা প্রাচীন এবং অবাস্তব। ১৯৮০-র দশকে আমেরিকায় প্রচলিত ভাবনা থেকে প্রভাবিত হয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
এদিন সমস্ত কিছু শোনার পর ওই নির্দেশিকা নিয়ে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। একই সঙ্গে ন্যাশনাল এডস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন এবং ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলকেও এই বিষয়ে নোটিস জারি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষের বক্তব্য শীর্ষ আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।