সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লাগাতার ছড়াচ্ছে ভুয়ো খবর। যাতে তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি, হিংসা। জন্মাচ্ছে অসন্তোষ। আর তাই এবার এর বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখাল সুপ্রিম কোর্ট। গুজব রোখার জন্য কেন্দ্র ও টুইটারকে ধরানো হল নোটিস।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন এএস বোপান্না ও ভি রমাসুভ্রামণ্যনের একটি বেঞ্চ ভুয়ো খবর রুখতে কেন্দ্র ও টুইটারকে একটি নোটিস দেয়। যেখানে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, “বিভিন্ন হিংসা আর দাঙ্গার শিকড় লুকিয়ে থাকে ভুয়ো খবরের মধ্যে। যার অন্যতম চলতি বছর দিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার ঘটনা। সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে অশান্তি ছড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে ভারতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টুইটার এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে ১০ শতাংশ টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টই ভুয়ো কিংবা গুজব খবর ছড়ায়।” উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত এই অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে ভুয়ো খবর না ছড়ায়, সেদিকে কেন্দ্র ও টুইটারকে কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে, স্কুল খুলতেই বিক্ষোভে শামিল অভিভাবকরা, উত্তপ্ত রুবি পার্ক]
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন (Farmers protest) নিয়ে নানা খবর মিলছে মাইক্রোব্লগিং সাইটে। হ্যাশট্যাগ তৈরি করে সুর চড়ানো হচ্ছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে আগেই টুইটারকে হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক, এই যুক্তি দেখিয়ে সেগুলি বন্ধ করতে রাজি হয়নি জনপ্রিয় সাইটটি। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি নয় তারা। পরবর্তীতে অবশ্য কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নেয় সংস্থাটি। তবে এরপরও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ায় এবার কড়া শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ গুজব রুখতে কেন্দ্রকে আরও তৎপরতা দেখাতে হবে বলেই স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।