সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার গুজরাট (Gujarat) হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মাস্ক (Mask) না পরলে কোভিড কেন্দ্রে সমাজসেবামূলক কাজ করতে হবে অভিযুক্তদের। বৃহস্পতিবারই সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হাই কোর্ট তার রায়ে বলেছিল, মাস্ক না পরা অবস্থায় যাদের ধরা হবে, তাদের বেশ কয়েকদিন কোনও একটি কোভিড কেন্দ্রে গিয়ে কাজ করতে হবে।
গতকাল হাই কোর্টের ওই নির্দেশের পর সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় গুজরাট সরকার। এদিন শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মেনে নেয়, হাই কোর্টের নির্দেশটি পালন করা সম্ভব নয়। কেননা এর ফলে অভিযুক্তরা করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে এরই পাশাপাশি রাজ্যে বাড়তে থাকা সংক্রমণের ভ্রুকুটিকে অবহেলা করে যেভাবে লোকে বিয়েবাড়ি ও শপিং মলে ভিড় করছেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন : হিন্দুত্বে ভরসা নেই! কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সামনে রেখে লড়ছে বিজেপি]
বুধবার হাই কোর্ট জানিয়েছিল, কোভিড কেন্দ্রে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে হবে অভিযুক্তদের। মোট পাঁচ থেকে পনেরো দিন পর্যন্ত চালু থাকবে এই ‘শাস্তি’। ঠিক কী কী ধরনের কাজ করতে হবে, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছিল আদালত। জানিয়েছিল, অভিযুক্তের বয়স, যোগ্যতা, লিঙ্গ পরিচয় ইত্যাদি খতিয়ে দেখে সেই মতো তার কাজের ধরন ঠিক করা হবে। রান্না, খাবার পরিবেশন, তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে ঘর পরিষ্কার সহ গেরস্থালির নানা ধরনের কাজ করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ এবার খারিজ করে দিল হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, যতদিন না করোনার ভ্যাকসিন আসছে ততদিন কোভিড বিধি মেনে চলাকেই সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার একমাত্র উপায় বলছেন চিকিৎসকরা। যার মধ্যে অন্যতম মাস্ক পরা। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও এবিষয়ে অনেককেই উদাসীন থাকতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়ার পরে মাস্ক না পরলে জরিমানার অঙ্ক পাঁচশো থেকে বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করা হয়েছে। আরও নানা পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে অন্য বহু রাজ্যকে।